নাগরপুরে প্রতিবেশি চাচার ধর্ষণে ভাতিজি গর্ভবতী: থানায় মামলা

অপরাধ আইন আদালত নাগরপুর

নাগরপুর প্রতিনিধি: নাগরপুর উপজেলায় প্রতিবেশী চাচা ফরহাদের ধর্ষণে ৬ মাসের গর্ভবতী হয়ে পড়েছেন ১৩ বছরের ভাতিজি। এমন অভিযোগে ফরহাদের বিরুদ্ধে নাগরপুর থানায় ১৫ মে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের হয়েছে।

 

মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ভারড়া ইউনিয়নের পচাসারটিয়া গ্রামের মৃত সিরাজ খানের ছেলে ফরহাদ হোসেন খান (৫৫) প্রতিবেশীর ৮ম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে একাধিক দিন কয়েকবার জোর করে ধর্ষণ করে। যার ফলে মেয়েটি বর্তমানে ২৩ সপ্তাহের গর্ভবতী হয়ে পড়েছে।

ভুক্তভোগী মেয়েটি জানায়, গত বছরের (১৪ নভেম্বর) ফাঁকা বাড়িতে আমাকে ঘরে একা পেয়ে মুখ, হাত বেঁধে জোড় করে ধর্ষণ করে। আমি চিৎকার করলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। ফরহাদ চাচা বলে, তুই যদি কাউকে এ কথা বলিস, তাহলে আমি তোদের ঘরে শিং কেটে ঢুকে সবাইকে খুন করবো।

ভুক্তভোগীর বোন, বাবা-মা জানায়, আমরা অতি দরিদ্র। পেটের দায়ে মানুষের বাড়িতে কাজ করে ডাল-ভাত খাই। ওর শারীরিক পরিবর্তন দেখে ডাক্তার দেখালে জানতে পারি সে ৬ মাসের গর্ভবতী। পরে এই মেয়েকে চাপ দিয়ে জিজ্ঞেস করা হলে সে জানায়- প্রতিবেশী ফরহাদ চাচা আমার সাথে খারাপ কাজ করেছিল।

ভুক্তভোগীর মা বলেন, আমরা নাবালক মেয়েকে ধর্ষণের সুষ্ঠ বিচার চাই। ভুক্তভোগীর বাড়ি থেকে ৩শ গজ দূরে প্রতিবেশী মৃত সিরাজ খানের ছেলে ফরহাদ খানকে (৫৫) তার বাড়িতে গিয়ে পাওয়া যায়নি। বাড়িতে সাংবাদিক আসার খবরে পরিবার নিয়ে সে পালিয়ে যায়।

ধর্ষণের বিষয়ে এলাকার কিছু প্রভাবশালী ও শিক্ষক মিলে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছিল বলেও অভিযোগ করে এলাকাবাসী। দরিদ্রতার কষাঘাত ও প্রভাবশালীদের হুমকিতে ভুক্তভোগীর পরিবার এতোদিন মুখ বুজে থাকতে বাধ্য হয়েছে বলে জানায় পরিবারটি। এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে পরিবারটি।

 

এ বিষয়ে নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া মাত্রই তদন্ত পূর্বক থানায় মামলা দায়ের করে আসামি গ্রেফতারের অভিযান অব্যহত রেখেছি। আসামি যেই হোক তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।

তিনি আরো বলেন, ভুক্তভোগীর থানায় আসতে দেরি হওয়ার বিষয়টিও আমরা খতিয়ে দেখবো। যদি কোন মহল বা কেউ তাদের আইনগত অধিকার হরণের চেষ্টা করেছিল কিনা, এটাও খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *