টাঙ্গাইলে তিন থানায় হামলা-সংঘ‌র্ষে আহত অর্ধশত: নিহত ১

অপরাধ টাঙ্গাইল সদর দুর্ঘটনা ধনবাড়ী ফিচার বাসাইল রাজনীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলে সদর থানা, ধনবাড়ী‌ ও বাসাইল থানায় হামলা ও সংঘ‌র্ষে সিয়াম নামের একজনের মৃত্যু হ‌য়ে‌ছে। এতে প্রায় অর্ধশত মানুষ আহত হ‌য়ে‌ছে। আহতদের টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

 

 

সোমবার, ৫ আগস্ট বিকেলে ধনবাড়ী থানা ও বাসাইল থানায় ও সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল সদর থানায় হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনাগু‌লো ঘটে। এ সময় অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছে।

পুলিশ জানায়, সন্ধ্যায় আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় প্রবেশ করে পুলিশের ওপর হামলা চালায় ও ভাঙচুর ক‌রে। এ সময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। ত‌বে মারা যাওয়ার কোন খবর তারা জা‌নেন না।

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক জানান, গুলিবিদ্ধ একজনের মরদেহ মর্গে রয়েছে। আহতদের টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল ও শেখ হা‌সিনা মেডিকেল হাসপাতা‌লে ভ‌র্তি ক‌রে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

জানা‌ গে‌ছে, জেলার বাসাইল থানায় হামলা ক‌রে গা‌ড়ি ভাঙচুর করা হয়‌। পরে মু‌ক্তি‌যোদ্ধা কমপ্লেক্স ও উপজেলা চেয়ারম্যানে‌র গা‌ড়ি‌তে আগুন ও ক‌য়েক‌টি স্থাপনায় হামলার ঘটনা ঘ‌টে‌। এছাড়া জেলার বি‌ভিন্ন উপ‌জেলা‌তে আওয়ামী লীগ অফিস ও নেতাদের বাসায় হামলা, ভাঙচুর ও অ‌গ্নিসং‌যো‌গের ঘটনা ঘ‌টে‌।

এদিকে, নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ গুলি চালিয়েছে বলে দাবি করেছে সমন্বয়করা। রাত সাড়ে ৮টায় টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আল্টিমেটাম দিয়ে বলেন- টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগের এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান, মেয়র, কাউন্সিলরসহ সুবিধাভোগী নেতাদের পরিবার নিয়ে রাতের মধ্যেই জেলা ছাড়তে হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলার সমন্বয়করা আল্টিমেটাম দিয়েছেন, তা না হলে টাঙ্গাইলের মাটি তাদের জন্য অপেক্ষা করছে ব‌লে হুঁশিয়ারি দেন।

আন্দোলন থামাতে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সম্পৃক্ততা আর মদদে চলেছে শিক্ষার্থীদের হত্যা, হামলা আর নির্যাতন বলে দাবি করেছেন তারা। তাদের উপার্জিত সকল সম্পদ বায়েজাপ্তের ও হামলায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিচার দাবি করেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও জেলার সমন্বয়ক ইমরান কবির, কামরুল ইসলাম, আল আমিন সিয়াম, মাহতাব হাসান প্রমুখ।

টাঙ্গাইল জেলা পু‌লিশ সুপার গোলাম সবুর ব‌লেন, আন্দোলনকারীরা সদর থানায় হামলা চা‌লি‌য়ে‌ছিল। এ সময় হামলায় কয়েকজন পু‌লিশ আহত হ‌য়েছে। এছাড়া জেলার কোথাও কোনো সংঘ‌র্ষে কোনো আন্দোলনকারী মারা যাওয়ার কোন খবর তার জানা নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *