নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইল পৌর শহরের পাতুলিপাড়া দশমিক ফাউন্ডেশনের পাঠশালা প্রাঙ্গণে কাগমারী বস্তি এলাকায় পথশিশুদের নিয়ে পিঠা উৎসবের আয়োজন করে সংগঠনটি। শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে এতে আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠে শিশুরা। শিশুদের দেশীয় ঐতিহ্য পিঠার নামও পরিচিত করিয়ে দেওয়া হয়।
বসন্ত প্রায় শেষের দিকে। শীতও চলে যাচ্ছে। তবুও এই শীতকালের পিঠা-পায়েসের উৎসব এখনো চলছে। বাহারি ধরণের গ্রামীণ পিঠার আমেজ সমাজের বিত্তবানদের ঘরে ঘরে থাকলেও সমাজের হতদরিদ্র, অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুরা পিঠা উৎসব থেকে বঞ্চিত হয়। অর্থাভাবে খাওয়াও হয় না শীতের পিঠা। আর মায়ের হাতের পিঠাপুলি খাওয়াতো শুধু স্বপ্নের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।
শুধু তাই নয়, এসব অসহায় শিশুরা টাকার অভাবে যেতেও পারেন না কোনো পিঠা উৎসবে। এসব কথা চিন্তা করেই এক ব্যতিক্রমী পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছে টাঙ্গাইলের স্থানীয় দশমিক ফাউন্ডেশন নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। সংগঠনের তরুণ শিক্ষার্থীরা তাদের হাত খরচের টাকায় পিঠা উৎসবের আয়োজন করেন তারা।
পিঠা উৎসবে আসা পথশিশু মানিক, চাঁদনি ইসমেতারা ও সুমাইয়া খাতুন বলেন- আমরা টাকার অভাবে পিঠা কিনে খেতে পারি না। তাই আমাদের নিয়ে পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়। এ শীতকালে তাদের কারণে পিঠা খাওয়ার সুযোগ হয়েছে। অনেকগুলো পিঠা খেয়েছি। প্রতিবার এমন আয়োজন চাই আমরা।
দশমিক ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মিনারুল ইসলাম বলেন, সমাজের অবহেলিত ও ছিন্নমূল পথশিশুরাই পিঠা উৎসবে প্রধান ও বিশেষ অতিথি। সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা মুখোরোচক পিঠা থেকে হয়তো বঞ্চিত থাকে। এজন্য প্রতিবারের মতো এবারও অর্ধশতাধিক পথশিশুদের নিয়ে দশমিক পাঠশালাতে পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। আগামীতে আরও বড় পরিসরে আয়োজন করব।