
সখিপুর প্রতিনিধি: সখিপুর উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরকার নূরে আলম মুক্তার এক মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে লাথি মারার ঘটনায় তাঁকে অপসারণের দাবিতে কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে মানববন্ধন করেছেন বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, রবিবার (২৩ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে মানসিক ভারসাম্যহীন মোতালেব হোসেন (৫০) নামের এক ব্যক্তি ছোট একটি লাঠি হাতে নিয়ে উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে যান। তিনি এক ব্যক্তিকে পেটাবেন বলে বকাঝকা ও খোঁজ করছিলেন। এ সময় দায়িত্বরত দফাদার মোতালেবকে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেন।
পরে দুপুর ২টার দিকে তিনি একইভাবে পরিষদ চত্বরে গিয়ে বকাঝকা করতে থাকেন। পরে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সরকার নূরে আলম মুক্তা এগিয়ে গিয়ে মোতালেবকে পরিষদ চত্বর ত্যাগ করতে বলেন। এ সময় ক্ষিপ্ত হয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন মোতালেব হোসেন চেয়ারম্যান সরকার নূরে আলম মুক্তাকে আঘাত করে বসেন। বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে জনসম্মুখে চেয়ারম্যান ক্ষুব্ধ হয়ে মোতালেবকে লাথি মারেন। এই ঘটনার ভিডিও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মুহূর্তেই ভাইরাল হয়। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী বহুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
মানববন্ধনে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল লতিফ মাস্টারের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় রফিকুল ইসলাম রবি, ডি এম বজলুর রহমান, আব্দুল মান্নান, জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, শিপু জামান বুলবুল প্রমুখ।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান সরকার নূরে আলম মুক্তা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘লোকটি যে মানসিক ভারসাম্যহীন, তা আমি জানতাম না। জানলে আমি কোনোভাবেই এই আচরণ করতাম না। এখন আমাকে ছোট করতে কোনও একটি পক্ষ ভিডিওটি কেটে-ছেঁটে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করছে।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল রনি বলেন, ‘চেয়ারম্যানের ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি আমি দেখেছি। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। দোষী প্রমাণিত হলে এরপর প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
প্রসঙ্গত, চেয়ারম্যান নূরে আলম মুক্তা ২০২৪ সালের ২ মার্চ তার প্রতিবেশী এক প্রবাসীর স্ত্রীকে পেটানোর ঘটনায় কারাভোগ করেন। তিনি জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের একটি মামলার আসামি।