আমেরিকার রাষ্ট্রদূতের এত দৌড়াদৌড়ি ভালো না: বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী

টাঙ্গাইল সদর দিবস ফিচার রাজনীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ইস্যুতে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের ভূমিকা প্রসঙ্গে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বলেছেন, আমরা আমেরিকায় বাস করি না, বাংলাদেশে বাস করি। আমেরিকা স্যাংশন দেবে এই ভয়ে আমরা বিয়ে করবো না বউ তালাক দেবো, মেয়ের বিয়ে হবে না ছেলের বিয়ে করাবো; এটা চিন্তাভাবনা করা উচিত না। আমেরিকার রাষ্ট্রদূতের বাংলাদেশে এত দৌড়াদৌড়ি ভালো না। এটা তার দেশের ইলেকশন না, ইলেকশন আমাদের দেশের।

 

 

শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ওফাত দিবস উপলক্ষে তার মাজারে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন কাদের সিদ্দিকী।

তফসিলের বিষয়ে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা হয়েছে, এটা নিয়ে অনেকে খুশি না। আমি নিজেও খুশি না। কিন্তু তারপরও বলবো একটি গণতান্ত্রিক দেশে পাঁচ বছর পরপর অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, প্রভাবমুক্ত নির্বাচন হওয়া দরকার। বঙ্গবন্ধু নিজে বলেছে সকল প্রকার প্রভাব মুক্ত নির্বাচন করতে হবে।

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমি বলব এখন সরকার নাই, এখন সরকার নির্বাচন কমিশন। ইচ্ছে স্বাধীন যেন কোন কিছু না করা হয়। গতবারের মতো ভোটারহীন ভোট হলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ও সব থেকে বেশি ক্ষতি হবে বাংলাদেশের ও তার থেকে বেশি ক্ষতি হবে আমার বোন শেখ হাসিনার। সে জন্য কোন দল নির্বাচনে এল, কোন দল এল না, সেটা বিবেচনায় না নিয়ে যাতে সব ভোটার ঈদ-পূজার উৎসাহ নিয়ে ইচ্ছেমতো ভোট দিতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। বর্তমান নির্বাচন কমিশন ও আমার বোনকে বলব, আপনার শয়তানগুলোকে গলায় পাগা দেন। গরুকে যেমন পাগা দিতে হয়, যাতে খেত না খায়। আপনার কিছু দুষ্ট লোক আছে, তাঁদেরও গলায় পাগা দেন। তা না হলে আপনার সব সম্মান ধ্বংস হয়ে যাবে, নষ্ট হয়ে যাবে।

বিএনপির প্রসঙ্গে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন, বিএনপিতে মুসলমান আছে কি না, আমি জানি না। ভোটে দাঁড়ালেও আমেরিকার সমর্থন নেওয়া বিএনপিকে মুসলমানের ভোট দেওয়া উচিত না। ইসরায়েল যেভাবে গাজার ওপর অত্যাচার করছে, মুসলমানদের অত্যাচার করছে- এ রকম অবস্থায় পৃথিবীর একজন মানুষেরও আমেরিকার পক্ষে দাঁড়ানো উচিত না।

জোটগত নির্বাচনের বিষয়ে তিনি আরো বলেন, আমরা যদি আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটই করি, তাহলে নির্বাচন করব কার সঙ্গে? বিএনপি নির্বাচনে নেই, জাতীয় পার্টি টানাটানি করছে, আমরা যদি জোট বাঁধি, মানুষ ভোট দেবে কাকে। ভোট দেওয়ার জায়গা থাকবে না। আমরা ৩০০ আসনেই নির্বাচন করব। আমরা ৩০০ আসনে প্রার্থী না-ও দিতে পারি। আমরা এত বড় দল না। কিন্তু আমরা অসংখ্য আসনে প্রার্থী দেব। অন্য দলের প্রার্থীদেরও আমরা গামছা মার্কা উপহার দেব।

মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক বন্ধ রাখায় তীব্র নিন্দা ও সমালোচনা করেন বঙ্গবীর। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উচিত ভাসানীর মাজার সবার জন্য উন্মুক্ত রাখা। সবাই যেন ভাসানী হুজুরের মাজার জিয়ারত করতে পারেন।

এসময় কাদের সিদ্দিকীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সখীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র সানোয়ার হোসেন সজীব, মওলানা ভাসানীর নাতি হাসরত খান ভাসানীসহ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নেতাকর্মীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *