দেশে যত অন্যায় হয়েছে তার ৯০ ভাগ শেখ হাসিনা করেছে – বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী

টাঙ্গাইল সদর ফিচার রাজনীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে যত অন্যায় হয়েছে তার ৯০ ভাগ শেখ হাসিনা নিজে করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম। মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর দুপুরে নিহত সেনা কর্মকর্তা তানজিম সারোয়ার নির্জনের টাঙ্গাইল শহরের করের বেতকা বাড়িতে তার স্বজনদের সঙ্গে সমবেদনা ও সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

 

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বলেন, বিগত ১৬-১৭ বছর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশটা ভালো চলে নাই। এ দেশ আওয়ামী লীগ সরকারের ছিল না এবং মানুষের সরকার ছিল না। এ দেশ ছিল শেখ হাসিনার সরকার। এ দেশে যত অন্যায় হয়েছে তার ৯০ ভাগ শেখ হাসিনা নিজে করেছেন, আর ১০ ভাগ অপরাধ যারা করেছেন তারা বাধ্য হয়ে করেছেন। এর পরিবর্তন দরকার। এই বিপ্লব যদি ব্যর্থ হয় তাহলে ভবিষ্যত বাংলাদেশের জন্য অন্ধকার। সেই জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সফলতা ধরে রাখতে হবে। সেখানে আমাদের সন্তানের জীবনদান আল্লাহ গ্রহণ করুক এই শেষ ব্যক্তি হোক। যার দ্বারা আমাদের আইনশৃঙ্খলা ফিরে আসুক।

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বলেন, দেশটা কেমন যেন হয়ে গেছে। মানবিক মূল্যবোধ একেবারে ধ্বংস হয়ে গেছে। একটা সেনাবাহিনীর গায়ে ডাকাত, লস্কর চোর আঘাত হানতে পারে। তাহলে বুঝতে হবে সমাজে আইন-কানুন বলতে কিছু নাই। আমি এটাকে কোন গুরুত্ব দিতাম না। যদি একটা সাধারণ মানুষ হতো। তার পিছনে ছোরা মারছে, চাকু মারছে বা দা দিয়ে আঘাত করেছে। কিন্তু সেনাবাহিনীর পোশাক পড়া একজন মানুষের গায়ে দুস্কৃতিকারীরা যখন আঘাত হানতে পারে বা সাহস পায় তখন বুঝতে হবে আইনশৃঙ্খলা বলে অথবা দেশের শাসন ব্যবস্থার প্রতি মানুষের যে একটা শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, দুষ্ট লোকের যে ভয় থাকে তা কিছু নেই। এ সমাজটাকে বদলাতে হবে। আমি এসেছি মৃত্যু মানুষের জন্মের পরে অবধারিত সত্য, সে মৃত্যু হয়েছে। বাবা বেঁচে আছেন, বোন আছে তাদের বুক কেমন করছে। টাঙ্গাইলের মানুষ আমি দেখতে এসেছিলাম দেখে গেলাম।

তিনি বলেন, আমি রাজনীতিকে ইবাদতের মতো মনে করে রাজনীতি করি। এজন্য আমি প্রচুর সম্মান পেয়েছি। প্রচুর অসম্মানও পেয়েছি। গালাগালিও শুনেছি। এতদিন বেঁচে না থাকলে আমি গালাগালি শুনতাম না। আমি যদি ৭১ এর যুদ্ধ করতে না পারতাম যারা গালাগালি করেন তাদের অধিকাংশের জন্ম হয়তো পাকিস্তানের জারজ হিসেবে হতে পারত।

তিনি আরো বলেন, আমি আজকে একজন কাতর বাবা-মা-বোন তাদের পাশে শুধু আল্লাহ্ কাছে দোয়া করবার জন্য এসেছি। অন্য কোনদিন আপনারা আমাকে ধরবেন তত্ত্ববাধায়ক সরকার কত দিন থাকবে, কতদিন থাকা দরকার, মানুষের চাহিদা কি। তখন আমি অকপটে বলবো। আমি কোন কথা দ্বিধা করে বলার চেষ্টা করি না।

এ সময় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী তাঁর সাথে উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *