টাঙ্গাইলে চাঁদা না পেয়ে হোটেল ভাংচুর ও অর্থ লুটের অভিযোগে মামলা দায়ের

অপরাধ আইন আদালত টাঙ্গাইল সদর প্রতিষ্ঠান

নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করটিয়া ইউনিয়নের ক্ষুদিরামপুর বাইপাসে আব্দুর রহমান হোটেলে  চাঁদা না পেয়ে হোটেল ভাংচুর করে, অর্থ লুটসহ ম্যানেজার ও কর্মচারীকে মারধরের অভিযোগে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর দুপুর ৩ ঘটিকার সময় ক্ষুদিরামপুর বাইপাসে আব্দুর রহমান হোটেল ভাংচুর ও অর্থ লুটসহ মারধরের ঘটনা ঘটলেও আজকে ১৮ অক্টোবর মামলা দায়ের করা হয়েছে।

 

মামলা সূত্রে জানা যায়, প্রায় ২/৩ মাস যাবৎ উক্ত বিবাদীগন আমাদের দোকানে এসে চাঁদা দাবী করে। আমরা তাহাদের চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তারা আমাদের দোকানের খাবার খেয়ে চলে যায়। টাকা চাইলে আমাকেসহ আমার দোকানের অন্যান্য কর্মচারীদেরকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৬ অক্টোবর তারিখ দুপুর অনুমান তিন ঘটিকায় বিবাদীগন টাঙ্গাইল সদর থানার ক্ষুদিরামপুর বাইপাস-এর আব্দুর রহমান হোটেলের ভিতরে প্রবেশ করে নিকট ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা চাঁদা দাবী করে।

চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করলে বিবাদী জানায়, ‘এখানে ব্যবসা করতে হলে তাদেরকে চাঁদার টাকা দিতে হবে। তা না হলে দোকান বন্ধ করে চলে যাও’ বলে হুমকি প্রদান করে। অতঃপর তারা আমাদের দোকানের সাটার বন্ধ করার চেষ্টা করিলে আমি তাদের কাজে বাঁধা দেওয়া মাত্রই উল্লেখিত বিবাদীগন বে-আইনী দেশীয় তৈরি অস্ত্রসস্ত্র দিয়ে এলোপাথারীভাবে মারপিট করতে থাকে। এসময় দোকানের ভিতরে থাকা অন্যান্য কর্মচারীগন এগিয়ে আসলে তাদেরকে জখম করে।

মামলার বিবাদী  আলিফ (২২), পিতা- আঃ লতিফ, সাং- খাকজানা ফুচুকিয়া;  মোঃ রিফাত (২০), পিতা- আরজু, সাং- ক্ষুদিরামপুর; অর্মি (১৯), পিতা- আঃ রহিম, সাং- খারজানা; মোঃ রাহাত (২১), পিতা- গুতু মিয়া, সাং- ক্ষুদিরামপুরসহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২ বিবাদী লোহার রড ও হকিষ্টিক দিয়ে আমাদের দোকানের সকল গ্লাস, চেয়ার, টেবিলসহ অন্যান্য আসবাবপত্র ভাংচুর করে ক্ষতি সাধন করে। ক্ষতির পরিমান ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা এবং ১নং বিবাদী ক্যাশ বাক্সের তালা ভেঙে নগদ ১,৫৫,৪০০/- (এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার চারশত) টাকা চুরি করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগে জানা যায়।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভির আহম্মেদ জানান, করটিয়ার ক্ষুদিরামপুর বাইপাসের আব্দুর রহমান হোটেলে যে চাঁদা না পেয়ে ভাংচুর ও অর্থলুটের ঘটনা ঘটেছে বলে জেনেছি। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *