টাঙ্গাইলের সাতটি কলেজ এইচএসসি পরীক্ষায় শতভাগ ফেল

জাতীয় টাঙ্গাইল প্রতিষ্ঠান শিক্ষা

নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলের ১২টি উপজেলায় ১০৭টি কলেজের মধ্যে ৭টি কলেজ চলতি ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় শতভাগ ফেল করেছে। এই সাতটি কলেজের শিক্ষার্থীদের কেউই এইচএসসি পরীক্ষায় পাস করতে পারেনি।

বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ফলাফল প্রকাশের পর জেলা শিক্ষা অফিস থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

 

শিক্ষাবিদরা বলছেন, নিয়মিত ক্লাস না হওয়ার ফলে শিক্ষার্থীরা অকৃতকার্য হয়েছে। শতভাগ অকৃতকার্য কলেজগুলো হলো- টাঙ্গাইল সদর উপজেলার আল্লামা ইয়াকুব আলী কলেজ, টাঙ্গাইল কলেজ, টাঙ্গাইল কমার্স কলেজ, শাহীন কলেজ, মির্জাপুর উপজেলার ফতেপুর ময়নাল হক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মধুপুর উপজেলার মধুপুর মহিলা কলেজ এবং গোপালপুর উপজেলার হাদিরা বাধুরিরচর কলেজ।

জানা যায়, টাঙ্গাইল জেলার ১০৭ কলেজ থেকে ২৫ হাজার ১৩০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। এর মধ্যে ১১ হাজার ১১৯ জন শিক্ষার্থী কৃতকার্য হয়েছে। সে হিসাবে পাসের হার ৪৪.২৫ শতাংশ। উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫৭৩ জন।

আলীম পরীক্ষায় ১ হাজার ৪৯০ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে ৯৯৭ জন পাস করেছে। পাসের হার ৬৬.৯১ শতাংশ। উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে ২৩ জন। বিএম পরীক্ষায় দুই হাজার ২৬৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে ১ হাজার ৩৯৫ জন পাস হয়েছে। পাসের হার ৬১.৫৯ শতাংশ। উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে পাঁচজন। ভোকেশনাল পরীক্ষায় ৫৩৮ জন অংশ নিয়ে ২৪০ জন পাস হয়েছে। পাসের হার ৪৪.৬১ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে একজন।

জানা যায়, শতভাগ ফেল করা কলেজগুলোর মধ্যে আল্লামা ইয়াকুব আলী কলেজ থেকে ১৬ জন, গোপালপুরের হাদিরা বাধুরিরচর কলেজ থেকে ১৬ জন, টাঙ্গাইল কলেজ থেকে ৯ জন, টাঙ্গাইল কমার্স কলেজ, শাহীন কলেজ ও মধুপুর মহিলা কলেজ থেকে ২ জন করে, মির্জাপুরের ফতেপুর ময়নাল হক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ১৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন।

তবে শতভাগ অকৃতকার্য হওয়ার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সাংবাদিকরা মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাদের কাউকেই পাওয়া যায়নি।

এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ও সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক এস এম সাইফুল্লাহ বলেন, অভ্যুত্থানের পর শিক্ষা ব্যবস্থাকে অনেক গুরত্ব দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আরো সচেতন হতে হবে। তিনি বলেন, কলেজে না গিয়ে বাসায় নামমাত্র পড়াশোনা করলে পাস করা যায় না। নিয়মিত শ্রেণি কক্ষে গিয়ে ক্লাস করতে হবে। কলেজ বা শ্রেণি কক্ষে শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টির পাশাপাশি শিক্ষাদানের আমুল পরিবর্তন আনতে হবে।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রেবেকা সুলতানা বলেন, বিষয়টি জেলা প্রশাসনসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *