টাঙ্গাইলে যৌথবাহিনীর অভিযানের প্রতিবাদে তিন ক্লাবের সংবাদ সম্মেলন

টাঙ্গাইল সদর মিডিয়া রাজনীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলে সংবাদ সম্মেলন করে ষড়যন্ত্রকারী বিচার দাবি করলেন সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজগর আলী। বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তিনি।

এর আগে মঙ্গলবার রাতে শহরের ভিক্টোরিয়া রোডে অবস্থিত শতাব্দী ক্লাবে জুয়া খেলার সময় আজগর আলীসহ ৩৪জনকে আটক করে যৌথবাহিনী। এ সময় তাদের কাছ থেকে নগদ এক লাখ টাকা ৪৯ হাজার ৪১০ টাকা, জুয়া খেলার বিভিন্ন সরঞ্জমান ও দুইটি খালি মদের বোতল উদ্ধার করা হয়। বুধবার দুপুরে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাদের আদালতে পাঠানো হয়। পরে বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বাদল কুমার চন্দ তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।

 

সংবাদ সম্মেলনে আজগর আলী বলেন, আমি বাংলাদেশ জাতীয় কাবাডি দলের সাবেক অধিনায়ক এবং আন্তজার্তিক কাবাডি রেফারি, সৌখিন মৎস্য শিকারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক, আনাহলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি, গয়রাগাছা দাখিল মাদ্রাসার ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি, দুলবাড়ী রাশেদ হাসান উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি, টাঙ্গাইল শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত মেজর জেনারেল মাহমুদুল হাসান আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক, সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করে আসতেছি। আমি রাজনৈতিকভাবেও মানুষের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছি।

এছাড়াও আমি অত্যন্ত সুনামের সাথে হুগড়া ইউনিয়নের দীর্ঘদিন চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছি। আমি দীর্ঘদিন যাবত টাঙ্গাইল সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছি। বিগত হাসিনা বিরোধী আন্দোলনে সম্মুখভাগে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছি। যার ফলশ্রুতিতে দীর্ঘ তিন মাসেরও অধিক সময় কারাবরণ করেছি।

তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার রাতে আমি টাঙ্গাইলের শতাব্দী ক্লাবের সদস্য হওয়ার সুবাদে ক্লাবের পিয়ন বকেয়া চাঁদা জন্য আমাকে ফোন করলে আমি ক্লাবের বকেয়া চাঁদা পরিশোধের জন্য সেখানে উপস্থিত হলে যৌথবাহিনীর কিছু সদস্য শতাব্দী ক্লাবের ভিতর ডুকে পড়ে আমাকে কোন কারণ ছাড়াই গ্রেফতার করেন। যা আমার ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক জীবনে ব্যাপক প্রভাব পড়ে। যার কারণে আমার অর্জিত সুনাম প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। আমি ঘটনায় ষড়যন্ত্রের শিকার। আমি এই ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে বিচার প্রার্থনা করছি।

এ সময় জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি কাজী শফিকুর রহমান লিটন, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক দেওয়ান শফিকুল ইসলাম, সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোমিনুল হক খান নিক্সন, সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্মসাধারণ সম্পাদক আজিম উদ্দিন বিপ্লব, জেলা মহিলা দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মমতাজ করিম, সদর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি জহিরুল ইসলাম বাদল, কামরুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ও ওমর ফারুক, যুগ্ম সম্পাদক সোলায়মান হায়দার টুটুল, ঘারিন্দা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সৈয়দ শাহীন, পোড়াবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমিনুল সরকার, বাঘিল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি গোলাম সরোয়ার, সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হক, দাইন্যা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন, কাতুলী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেন, মাহমুদনগর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান, হুগড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কামরুল মোল্লাসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

এ দিকে যৌথবাহিনীর অভিযানের প্রতিবাদে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে শহরের শতাব্দী ক্লাব, নর্থ সাউথ ক্লাব, ভিক্টোরিয়া ফ্রেন্ডস ক্লাবের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নর্থ সাউথ ক্লাবের সভাপতি ও জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু। তিনি বলেন, শহরের আরও বিভিন্ন ক্লাব রয়েছে। সেখানে অভিযান না করে এই তিনটি ক্লাবে যৌথ বাহিনী যে অভিযান চালিয়েছে, ষড়যন্ত্রমূলক।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন শতাব্দী ক্লাবের সভাপতি অমল ব্যানার্জী, সাধারণ সম্পাদক আকিবুর রহমান ইকবাল, ভিক্টোরিয়া ফ্রেন্ডস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সায়েম রেজা বাবু, কার্যকরি সদস্য ও জেলা যুবদলের আহ্বায়ক খন্দকার রাশেদুল আলম রাশেদসহ অন্যান্য সদস্যরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *