
মির্জাপুর প্রতিনিধি: পুলিশ বাহিনীর অতিরিক্ত আইজি (এইচআরএম) আবু নাছের মোহাম্মদ খালেদ বলেছেন, কোথায় কোথায় ভুল রয়েছে তা সংশোধন করে পুলিশ বাহিনীকে ঘুরে ধারাতে হবে। আগামী কয়েক মাস পরেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমরা পুলিশ বাহিনীর হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনার চ্যালেঞ্জ নিয়েছি। আগামী নির্বাচন হবে পুলিশ বাহিনীর কলঙ্ক মোছার নির্বাচন।
রবিবার, ২২ জুন সকালে মির্জাপুরের মহেড়া পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের প্যারেড গ্রাউন্ডে ৫৫ তম টিআরসি ব্যাচের মৌলিক প্রশিক্ষণ (ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল) সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
অতিরিক্ত আইজিপি আবু নাছের মোহাম্মদ খালেদ বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম নিয়োগপ্রাপ্ত চার হাজার ১০০ গর্বিত নবীন পুলিশ কনস্টেবল আপনারা। আজকে থেকে আপনারা পুলিশ বাহিনীর গর্বিত সদস্য হতে যাচ্ছেন। পুলিশ বাহিনীর যে শপথ বাক্য পাঠ করেছেন তা কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে হবে। কর্মক্ষেত্রে মানুষের সঙ্গে সু-সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে।’ পুলিশ সদস্যদের জনগণের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনার পরামর্শ দেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, ‘জনগণের সুরক্ষা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। জনগণের সঙ্গে আমরা মেলবন্ধন তৈরি করতে পারি তাহলে পুলিশ বাহিনীর প্রতি মানুষের আস্থা ফিরে আসবে। পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা জনগণের প্রতি এক হাত বাড়িয়ে দিলে জনগণ বুকে জড়িয়ে আলিঙ্গন করবেন।’ ভালো কাজের মধ্য দিয়েই পুলিশ বাহিনীর হারানো গৌরব ফিরে আসবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
প্রধান অতিথি নবীন পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞানের উৎকর্ষতা, সততা, নিষ্ঠা, একাগ্রতা কর্মজীবনে প্রয়োগ এবং সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সাথে অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জনে ব্রতী হওয়ার নির্দেশনা প্রদান করেন। পুলিশ বাহিনীর সব সদস্যের সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল কামনা করেন।
এ সময় মহেড়া পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের ডিআইজি মোহাম্মদ আশফাকুল আলম, অতিরিক্ত ডিআইজি এ এইচ এম কামরুজ্জামান বিপিএম, টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান, পুলিশ বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মহেড়া ট্রেনিং সেন্টারের কয়েকজন পুলিশ সুপার, জেলার বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সালাম গ্রহণ শেষে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারী চারজন প্রশিক্ষণার্থীর হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন। মৌলিক প্রশিক্ষণে সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে ৫৫ তম টিআরসি ব্যাচের ৮১৫ জন ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল সফলতার সঙ্গে তাদের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেন।