
মাভাবিপ্রবি প্রতিবেদক: টাঙ্গাইল সদর উপজেলার একটি ফ্ল্যাট বাসা থেকে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২১ জুন) সকালে নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল সদর উপজেলার সন্তোষ পুরাতন পাড়া নেওয়াজ আলীর বাসার চতুর্থ তলার একটি কক্ষ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. ইমাম হোসেন বলেন, সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান আমাকে ঘটনাটি জানালে আমি ভিসি-সহ তার মেসে যাই। কাগমারী পুলিশ ফাঁড়িতে তথ্য দিলে তারা রুমের ভেতর থেকে লাশ উদ্ধার করে এবং পরে প্রেরণ করে। প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি, সে অনেকদিন ধরে হতাশায় ভুগছিল। এ কারণেই আত্মহত্যা করতে পারে।
কাগমারী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. ছাইফুল ইসলাম বলেন, গতকাল সকালে জুনায়েদ পাশের রুমের এক শিক্ষার্থীকে বলেন, ‘আমি ঘুমাবো, আমাকে ডাকিস না।’ এরপর সারারাত কেউ তাকে ডাকেনি। পরদিন সকাল ও দুপুরে ঘুম থেকে না ওঠায় সন্দেহ জাগে। অনেক ডাকাডাকি করেও সাড়া না পাওয়ায় বিষয়টি প্রক্টরকে জানানো হয়। তাঁর ফোন পাওয়ার পর আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা ভেঙে মরদেহ উদ্ধার করি। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলেই ধারণা করা হচ্ছে। তবে তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।
নিহত জুনায়েদ হোসেন (২৪) গাজীপুর জেলার পুবাইল থানার বসুগাঁও গ্রামের আলি আহমেদের ছেলে। তিনি মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০–২১ সেশনের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
টাঙ্গাইল সদর থানার এসআই কাজী নজরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় জুনায়েদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারের পর মরদেহ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
এদিকে, জুনায়েদ হোসেন রুমের দেওয়ালে লিখছেন আমেরিকান ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার ও সাংবাদিকের উক্তি World is a fine place and worth fighting for. – পৃথিবীটা একটা চমৎকার জায়গা এবং এর জন্য লড়াই করা মূল্যবান। তার মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাঁর সহপাঠী ও শিক্ষকরা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।