
নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কাকুয়া ইউনিয়নে যমুনা নদীতে বর্ষার শুরুতেই তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনের কবলে পড়েছে বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ ৫ শতাধিক পরিবার।
স্থানীয় আমিরুল ইসলাম জানান, উপজেলার কাকুয়া ইউনিয়নের ঝাউগাড়া থেকে ওমরপুর দক্ষিণপাড়া পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভাঙন আতঙ্কে অনেকেই বাড়ি-ঘর সরিয়ে নিচ্ছে। কয়েকবার ভাঙনের পর ভিটেমাটি হারিয়ে ওমরপুর নদীর কাছারে বাড়ি করেছি। এই বাড়ি যদি ভেঙে যায়, অন্যত্র বাড়ি করার মতো জায়গা নেই। বাড়ি করার জন্য মানুষ এখন জায়গা দিতে চায় না।
স্থানীয় আবুল হোসেন বলেন, আমার বাবাসহ আমি ১৩ বার এই যমুনা নদীর ভাঙনের শিকার হয়েছি। একটা পরিবার ১৩ বার যদি ভাঙনের শিকার হয় তাহলে তার আর কী থাকে।
ওমরপুর গ্রামের আইয়ুব আলী বলেন, পানাকুড়া, কেশবমাইজাল, চরপৌলি, উত্তর চরপৌলি, নয়াপাড়া, দশাখা, তেঁতুলিয়া, মাকরখোল, রশিদপুর, চগ্গপাল, বারবালাসহ প্রায় ৩০-৩৫টি গ্রাম যমুনা নদীর ভাঙনে সদর উপজেলার মানচিত্র থেকে হারিয়ে গেছে।
কাকুয়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন বলেন, যমুনার ভাঙন আতঙ্কে কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ ৫ শতাধিক পরিবার রয়েছে। এ ছাড়াও বেশ কিছু কৃষি আবাদি জমে রয়েছে। তিনি আরো বলেন, এই গ্রামের প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যদি জিও ব্যাগ ফেলা যেত তাহলে ভাঙন রোধ হবে। যমুনার পানি বাড়লে ও কমলে তীব্র ভাঙন দেখা দেয়।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মতিউর রহমান বলেন, কাকুয়া ইউনিয়নে যে এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে সে এলাকায় আমরা কাজ করছি।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার নাহিদা আক্তার বলেন, ইতোমধ্যেই আমি উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে পরিদর্শন করেছি। বিশেষ করে যে সমস্ত ইউনিয়নে যমুনা নদীর ভাঙনকবলিত এলাকায় রয়েছে।