
মধুপুর প্রতিনিধি: বিএনপির জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব ফকির মাহবুব আনাম স্বপনের মধুপুর উপজেলার মহিষমারা গ্রামে তাঁর খামারবাড়িতে ফার্নেস অয়েল কারখানায় ডাকাতির ঘটনায় কারখানা পরিদর্শন করেছেন টাঙ্গাইল জেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দ।
রবিবার, ৪ মে দুপুরে টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ফরহাদ ইকবালের নেতৃত্বে মধুপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি জাকির হোসেন সরকার, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন, পৌর বিএনপির সভাপতি খুররম খান ইউসুফজাই প্রিন্স, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মোতালিব হোসেন, ধনবাড়ী উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ এম আজিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এনামুল ভিপি, পৌর বিএনপির সভাপতি এসএমএ সোবহান, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম স্বপন প্রমুখসহ জেলা-উপজেলার অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শন শেষে সংবাদ সম্মেলনে টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ফরহাদ ইকবাল বলেন, স্বপন ফকিরকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে রাজনীতি থেকে নিষ্ক্রিয় করার উদ্দেশ্যে কেউ দূরের লোক দিয়ে এসব করাতে পারে। এ ঘটনাটি পূর্ব পরিকল্পিত মনে হচ্ছে। সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার দাবিও জানান তারা।
ফকির মাহবুব আনাম স্বপন ফকিরের ভাতিজা ও টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রদলের নেতা মাহমুদুল হাসান শরীফ নৈশপ্রহরীর বরাতে জানান, গত শুক্রবার দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে ওই ফ্যাক্টরির পেছনের গেট কেটে ১৫-১৬ জনের ডাকাতদল ভেতরে প্রবেশ করে। ডাকাতরা কারখানায় ঢুকেই অদূরে থাকা নৈশপ্রহরীর হাত-পা ও মুখ বেঁধে ফেলে। এরপর তারা প্রধান ফটকের পাশে থাকা গার্ডকেও একইভাবে বেঁধে রাখে।
তিনি আরও জানান, পরে তারা বিদ্যুতের সুইচ বন্ধ করে কারখানার ট্রান্সফরমারের ভেতরের যন্ত্রপাতি খুলে নেয়। জেনারেটরের ঘরে গিয়ে মূল্যবান তার ও ব্যাটারিগুলো নিয়ে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ট্রাকযোগে মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা দপ্তরের সদস্যরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ ঘটনায় শনিবার, ৩ এপ্রিল রাত ১০ টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ফকির মাহবুব আনাম স্বপনের পক্ষে কারখানার সিকিউরিটি ইনচার্জ তাজুল ইসলাম মধুপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ ঘটনায় ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মধুপুর জোনাল অফিসের ডিজিএম এমাজ উদ্দিন সরদার বলেন, আনাম গ্রিন ফুয়েল এনার্জি অ্যান্ড রিসোর্স ফার্নেস ওয়েল কারখানার দুইশ’ কেভি ট্রান্সফরমারের যন্ত্রপাতি ডাকাত দল খুলে নিয়ে গেছে- যার মূল্য প্রায় ৪৫-৫০ লাখ টাকা। এ ছাড়া বৈদ্যুতিক মূল্যবান তার ও কিছু নগদ টাকা লুট করার কথাও তিনি শুনেছেন।
এ ব্যাপারে মধুপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. এমরানুল কবীর বলেন, মামলার পর তদন্ত করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতার করতে পুলিশি অভিযান চলছে। আশা করছি দ্রুত আসামিদের গ্রেফতার করা হবে।