নাগরপুর প্রতিনিধি: নাগরপুরে মাদক নিয়ে দ্বন্ধে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে চাচা-ভাতিজাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে এক মাদকসেবী। পরে জনতার গণধোলাইয়ে নিহত হয়েছে ওই ঘাতক। এ ঘটনায় আহত হয়েছে একজন।
বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার ধুবড়িয়া ইউনিয়নের ধুবড়িয়া পূর্বপাড়া (কাতার মার্কেট) নামক এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে।
নিহতরা হচ্ছেন ওই গ্রামের মৃত ফজর আলীর ছেলে আব্দুস ছাত্তার (৫০), মুকুল মিয়ার ছেলে আসাদুল (২৮) এবং বাসি মিয়ার ছেলে ঘাতক মো. তালেব (২৫)। এদের মধ্যে ধুবরিয়া পূর্বপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আবু তালেব গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন। নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ এইচ এম জসিম উদ্দিন ট্রিপল মার্ডারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ, হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ধুবড়িয়া গ্রামের মুকুল মিয়ার ছেলে মাদকাসক্ত আসাদুল স্থানীয় কাতার মাকের্টের সামনে একটি চায়ের দোকানে চা পান করছিল, এ সময় একই গ্রামের বাসি মিয়ার ছেলে আরেক মাদকাসক্ত মো. তালেব ঘটনাস্থলে এসে আসাদুলের সঙ্গে কথা কাঁটাকাটি করে। এক পর্যায়ে তালেব ধারালো ছেনি দিয়ে আসাদুলকে উপুর্যপুরি কোপাতে থাকে। এ সময় আসাদুলের চাচা আব্দুস ছাত্তার বাধা দিলে তাকেও উপুর্যপুরি আঘাত করে। এ সময় প্রত্যক্ষদর্শী আজমল মিয়া এগিয়ে এলে তাকেও মেরে আহত করে।
স্থানীদের সহযোগিতায় স্বজনরা আব্দুস ছাত্তার, আসাদুল এবং আজমলকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক চাচা আব্দুস ছাত্তার ও ভাতিজা আসাদুলকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত আজমলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে চাচা-ভাতিজার মৃত্যর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা ঘাতক তালেবকে ঘটনাস্থলে একটা খুটির সাথে বেধে গণপিটুনি দিয়ে তাকেও হত্যা করে।
নাগরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এইচএম জসীম উদ্দিন বলেন, নিহত চাচা-ভাতিজার লাশ হাসপাতালে আনা হয়েছে। তালেবের লাশ ঘটনাস্থলে রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পাওয়া সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।