নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইল সদর থানায় অপহরণের ৬দিন পর অপহরণকারী শেখ সাদির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গত ১৫ আগস্ট অপহরণের ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইল সদর থানার মাহমুদনগর ইউনিয়নে।
জানা যায়, ১৬ আগষ্ট, শুক্রবার পাশের গ্রামেই বিবাহ ঠিক হয় আছমা খাতুনের। বাজার ঘাট যখন সব শেষ ঠিক তার আগের দিন ১৫ আগষ্ট শেখ সাদি (২২) পিতা আব্দুল কাদের গ্রাম, বালিয়া পাড়া ডাকঘর মাকোরকোল থানা জেলা টাঙ্গাইল ভিকটিম আছমা (১৭) বাড়ীর সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায়। কোথায় নিয়ে যায় কোন সন্ধান কেউ দিতে পারছে না, মেয়ের বাবা অস্থির হয়ে মেয়েকে খুঁজছে। হঠাৎ করে জানতে পারে শেখ সাদি নামের একটি ছেলে মেয়েকে তুলে নিয়ে গেছে, এরই মধ্যে পার হয়ে গেছে ২৪ ঘন্টা। সাথে সাথে এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিসহ স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের জানালে তারা আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পরার্মশ দেন। এক পর্যায় মেয়ের বাবা টাঙ্গাইল সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করলে ভিকটিমকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল সদর থানার পুলিশ।
মামলার সূত্রে জানা যায়, আছমা খাতুন সোনামাইঝাল গ্রামে স্থানীয় একটি হাফিজিয়া মাদরাসায় হেফজ পড়তো। মাদরাসায় যাতায়াতের সময় শেখ সাদি তাকে বিরক্ত ও উক্তক্ত করতো। এক পর্যায় বিষয়টি আছমা খাতুনের বাবা বেল্লাল হোসেন জানতে পেরে আসামী শেখ সাদিকে তার মেয়ের কাছ থেকে সরে যেতে বললে সে সরে না গিয়ে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে যে কোন সময় মেয়েকে তুলে নিয়ে যাবে বলে হুমকি দেয়। এক সময় মেয়ের বাবা মানসম্মানের ভয়ে মেয়েকে অনত্র বিয়ে দেওযার জন্য চেষ্টা করেন। এই সংবাদ শুনে আসামী বিয়ের আগের দিন মেয়েকে তুলে নিয়ে যায়। মামলার আসামী হলেন শেখ সাদি, মা রানী বেগম, চাচা সাইফুল ইসলাম মামা মো. রুহুল আমিন ও আলাউদ্দিন।
টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনর্চাজ মো. লোকমান হোসেন জানান, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ আসলে আমরা গত ২৫ আগষ্ট আসামী শেখ সাদির বাড়ী থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করি। ভিকটিমের বাবা বেল্লাল হোসেন বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সং/২০২০ অপহরণ ও অপহরণে সহায়তা করার অপরাধে মামলাটি রুজু হয়। অন্য আসামীদেরকে দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।