নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম লৌহজং নদী উদ্ধার, পরিষ্কারকরণ ও নদীর দুপারে রাস্তা তৈরীর কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন।
শুক্রবার ১৫ মার্চ সকালে জেলা প্রশাসন, সদর উপজেলা প্রশাসন, টাঙ্গাইল পৌরসভাসহ সর্বস্তরের জনসাধারণের সমন্বয়ে লৌহজং নদী উদ্ধার কার্যক্রম পরিদর্শন করা হয়।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব আইরিন আক্তার, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী, টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হাসান-বিন-মোহাম্মদ-আলী, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান আনছারী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা আক্তার, টাঙ্গাইল টাঙ্গাইল পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ সাইফুল ইসলাম সরকার, পৌরসভার সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর হোসনে আরা বিউটি, জেলা দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হূমায়ুন রশিদ আকন্দ সোনা, সাবেক কাউন্সিলর হেলাল ফকিরসহ গণমাধ্যমকর্মী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, লৌহজং নদী রক্ষা আন্দোলনের সদস্য ও সর্বস্তরের জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন।
পরিদর্শনকালে নদীর দুইপারের সাধারণ মানুষ জেলা প্রশাসকের এই মহৎ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় এবং নদী যাতে দ্রুত তার নাব্যতা ফিরে পায় সেই আশা ব্যক্ত করেন।
জেলা প্রশাসক নদীর পাড়ে বসবাসরত জনসাধারণের সাথে মতবিনিময় করে বলেন, নদী উদ্ধার কার্যক্রমে সকলকে সহযোগিতা করতে হবে। আশা করা যাচ্ছে, প্রশাসনের উদ্যোগে দ্রুততম সময়ের মধ্যে লৌহজং নদীর দুপারে রাস্তা নির্মিত হবে এবং নদী তার স্বাভাবিক গতিপথ ফিরে পাবে।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, নদী হচ্ছে রাষ্ট্রীয় সম্পদ, তাই এই লৌহজং নদীর দুই পাশে যারা অবৈধভাবে দখল করে বাড়ি-ঘর নির্মাণ করেছেন তারা স্বেচ্ছায় জায়গা খালি করে দিবেন। আমরা আপনাদের সাথে নিয়েই কাজ করতে চাই। আমি কথা দিচ্ছি আপনার জমির কাগজপত্র আমরা যাচাই-বাচাই করে দেখবো সব ঠিক থাকলে এবং আপনার বৈধ জমিতে বাড়ি নির্মাণ করা থাকলে আমরা সেটাতে হাত দিবো না। আর যদি অবৈধভাবে নদী গ্রাস করে আপনারা বাড়ি নির্মাণ করে থাকেন তাহলে সেটা ভেঙে ফেলা হবে।
