ঘাটাইল প্রতিনিধি: ঘাটাইল উপজেলার চৈথট্র বটতলী এলাকার ভ্যান চালক ও কাঠ ব্যাবসায়ী কবির হত্যা মামলায় দুই আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার, ২১ অক্টোবর বিকালে মামলার অন্যতম আসামী দেলোয়ার হোসেন দেলুকে র্যাব সদস্যরা গ্রেফতার করে ঘাটাইল থানায় হস্তান্তর করেন।
সোমবার তাকে আদালতে নেওয়া হবে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঘাটাইল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক আজহারুল ইসলাম। এর আগে মামলা হওয়ার একদিন পর ইসমাইলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত ইসমাইলের দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তবে কবির হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা ইসমাইল অস্বীকার করেছেন বলে জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম।
জানা যায়, গত ১৬ সেপ্টেম্বর ভোরে উপজেলার চৈথট্র বটতলী এলাকা থেকে গলায় রশি পেঁচানো কবির হোসেন (২৭) নামে এক ভ্যানচালকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। শুরু থেকেই পরিবার, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এবং এলাকাবাসির দাবী এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এ ঘটনায় ২১ সেপ্টেম্বর কবির হত্যার বিচারের দাবীতে বীর মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধিসহ পাঁচটি গ্রামের হাজারো নারী পুরুষসহ এলাকাবাসি মানববন্ধন করেন।
দীর্ঘ ২৫ দিন পর ১১ অক্টোবর প্রকাশিত ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে প্রকাশ পায় হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন কবির। তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেয়ে পুলিশ ওইদিনই কবিরের চাচা মোঃ হায়েত আলী বাদী হয়ে হত্যা মামলা নিয়েছেন। মামলায় উল্লেখ করা হয় খাগরাটা গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে ইসমাইল এবং নেওয়াজ আলীর ছেলে বাবুর সঙ্গে টাকা-পয়সা লেনদেন নিয়ে আগে থেকেই বিরোধ ছিল কবিরের। হত্যার এক মাস আগে তারা কবিরকে খুন করার হুমকি দেন। তাই এ হত্যাকান্ডের সঙ্গে ইসমাইল ও বাবু জড়িত থাকতে পারে বলে পরিবারের ধারণা ছিল।
মামলার বাদী মোঃ হায়েত আলী বলেন, শুরুতে পুলিশ হত্যা মামলা নিলে এতদিন সব আসামী গ্রেপ্তার হতো। এতদিন আসামীরা এলাকাতেই ঘুরে বেড়িয়েছে। সন্দেহভাজন পাঁচজন এলাকা থেকে পালিয়েছে। এলাকায় অন্য মানুষ থাকলেও তারা কেন পালালো।
সংগ্রামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন জানান, লাশের উপসর্গ দেখে তার ধারণা ছিল এটি হত্যাকাণ্ড। লাশের গলায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর মাঠে নামে পুলিশ।
ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ লোকমান হোসেন বলেন, নিহত কবিরের ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকীরা পলাতক আছে। আসামীদের গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।