গোপালপুরে অবশেষে বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন নোটিশ পাওয়া সেই শিক্ষক

গোপালপুর পরিবেশ ফিচার শিক্ষা

গোপালপুর প্রতিনিধি: অবশেষে বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন গোপালপুরের সাজানপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রনি প্রতাপ পাল। কনে কালিহাতী উপজেলার মগড়া গ্রামের সত্য পালের মেয়ে স্বর্না পাল।

 

 

শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর উপজেলার পালপাড়ার বাসিন্দা রতন লাল পালের ছেলে রনি প্রতাপ পাল আর্শিবাদ অনুষ্ঠান সম্পন্ন করেন। আগামী ১৫ ডিসেম্বর বিয়ের বাকী কাজ সম্পন্ন হবে বলে জানা গেছে।

 

 

শিক্ষক রনি প্রতাপ পাল বলেন, কোন চাপে নয় পরিবারের পছন্দেই বিয়ে করতে যাচ্ছি। সবার কাছে দোয়া চাই। এখন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ছোট পরিসরে অনুষ্ঠান করায় কাউকে বলা হয়নি। বিয়ের অনুষ্ঠানে অবশ্যই প্রধান শিক্ষককে দাওয়াত দেওয়া হবে।

ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বিয়ের বিষয়ে অবগত না থাকায় এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।

নিয়মবহির্ভূত বিয়ের নোটিশ দেওয়ায় ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে একাধিক সরকারি তদন্ত চলমান রয়েছেন। প্রধান শিক্ষকের বহিস্কার চেয়ে ছাত্র, ছাত্রী, অভিভাবক, সাবেক শিক্ষকরা ও স্থানীয়রা মানববন্ধন কর্মসূচিও পালন করেছে।

জানা যায়, ২০১৬ সালে সহকারী শিক্ষক পদে ওই বিদ্যালয়ে যোগ দেন রনি প্রতাপ পাল। গত ২৬ জুলাই তাকে নোটিশ দিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। নোটিশে বলা হয়, বিদ্যালয়ে যোগদানের পর আপনাকে বারবার মৌখিকভাবে তাগিদ দিয়েছি বিবাহ করার জন্য। কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয় কয়েক বছর অতিবাহিত হওয়ার পরও আপনি বিবাহ করেননি। বিদ্যালয়টিতে সহশিক্ষা চালু রয়েছে। অভিভাবকরা অবিবাহিত শিক্ষক নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন। সুতরাং বিদ্যালয়ের বৃহত্তর স্বার্থে নোটিশ প্রাপ্তির ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে বিবাহের কার্য সম্পন্ন করে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার জন্য আপনাকে বিশেষভাবে পাক্কা নির্দেশ প্রদান করা হলো।

নোটিশটি পাওয়ার দুইদিন পর সহকারী শিক্ষক রনি প্রতাপ প্রধান শিক্ষককে লিখিত জবাবে বলেন, আমার অভিভাবকরা আমার বিয়ের চেষ্টা করছেন। কিন্তু বাংলাদেশের হিন্দুদের বিয়ের পাত্র-পাত্রী বাছাইয়ে গাত্র বা বর্ণের বিষয় রয়েছে। এছাড়া হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা শ্রাবণ থেকে কার্তিক পর্যন্ত বিয়ে করাটা শুভ মনে করে না। সুতরাং পারিবারিক ও ধর্মীয় রীতির কারণে আগামী অগ্রহায়ণ মাসে আমার অভিভাবকেরা আমাকে বিবাহ করাবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *