নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইল সমবায় মার্কেটে দোকান ফিরে পেতে ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। এছাড়াও সমবায় ব্যাংকের সভাপতি কুদরত-ই-এলাহী খানের দুর্নীতির বিচারের দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ী নেতারা।
এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার সকালে নির্মাণাধীন সমবায় মার্কেটের সামনে অবস্থান ধর্মঘট ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে মার্কেটের সাবেক ব্যবসায়ীরা। অবস্থান ধর্মঘট চলাকালে বক্তব্য রাখেন সমবায় সুপার মার্কেট ব্যবসায়ী মালিক সমিতির আহবায়ক রাহেলা জাকির।
এ সময় সমবায় সুপার মার্কেট ব্যবসায়ী মালিক সমিতির আহবায়ক কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক খান, ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান, দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী, বশির আহমেদ, মতিয়ার রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আজগর আলী খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আজম খান, শাহীন তালুকদার, আবুল সরকার, ইউসুফ আলী, সৈয়ত সেলিম, নারগিস আক্তারসহ সমবায় সুপার মার্কেট মালিক সমিতির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এবং শতাধিক সাধারণ ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, টাঙ্গাইল সমবায় মার্কেটে ১৯৮২ সালে সমবায় ব্যাংকের মাধ্যমে ৩৫ হাজার টাকা জমা দিয়ে ১’শ ৫৫ জন ব্যবসায়ী সমবায় মার্কেটের দোকানের পজিশন নেয়। দোকান নিয়ে সুখে-শান্তিতে ব্যবসা করছিলেন তারা। কিন্তু ২০১৩ সালের শেষের দিকে বহুতল ভবন মার্কেট নিমার্ণের কথা বলে তৎকালীন সভাপতি কুদরত-ই-এলাহী খান মার্কেটটি জোরপূর্বক ভেঙে ফেলেন। ব্যবসায়ীরা আন্দোলন করলে সভাপতি বলেন বহুতল ভবন তৈরির পর দোকান মালিকরা যে অবস্থানে ছিলো সেখানেই থাকবে। এ ব্যাপারে ব্যবসায়ীদেরকে একটি অঙ্গিকারনামা দলিল সম্পাদন করেন। ভবন তৈরি পর শর্ত ভেঙে পূর্বের ব্যবসায়ীদের দোকান না দিয়ে অন্যদের নিকট থেকে অধিক টাকা নিয়ে দোকান বরাদ্ধ দেওয়া হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা বলেন, তৎকালীন সময়ে জায়গা জমি বিক্রি ও চাকুরী জীবনের শেষ সম্বল দিয়ে দোকান নিয়ে সংসার পরিচালনা করে আসছিলাম। সভাপতির প্রতারণার শিকার হয়ে আজ আমরা নিঃশ্ব ও সর্বশান্ত। এই দোকান ফিরে না পেলে মৃত্যু ছাড়া কোন পথ নেই। এই মার্কেটে ১৫৫ জন ব্যবসায়ীদের মধ্যে ইতিমধ্যে ২০জন ব্যবসায়ী মৃত্যুবরণ করেছে। যারা দোকান পায়নি তাদের অনেকে ফুটপাতে দোকান করছে। কেউ রিকশা-ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছে।
দোকান ফেরত না দিয়ে সমবায় মার্কেট যদি উদ্বোধন করতে আসে, তাহলে ব্যবসায়ীরা মিলে এর কঠিন জবাব দেওয়ার হুশিয়ারি দেন তারা। বক্তারা সমবায় কর্মকর্তা ও প্রশাসনের কাছে দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবি জানান।