কচুরিপানা ফুলে অপরূপ দৃশ্যে মুগ্ধতা ও নান্দনিকতা

কচুরিপানা ফুলে অপরূপ দৃশ্যে মুগ্ধতা ও নান্দনিকতা

পরিবেশ ফিচার

গোপালপুর প্রতিনিধি: গোপালপুরে দক্ষিণ পাথালিয়া ঝিনাই ও গোপালপুরের বৈরান নদীসহ বিভিন্ন বিল-ঝিল ও নদী-নালায় ফুটেছে কচুরিপানা ফুল। ফুলের নির্মল ও স্নিগ্ধকর সৌন্দর্য প্রকৃতিতে যোগ করেছে মুগ্ধতা ও নান্দনিকতা।

তাই প্রকৃতি মেতেছে এখন নতুন রূপে। চোখ জুড়ানো অপরূপ দৃশ্যে মুগ্ধ হচ্ছেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পিপাসু মানুষ। প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নেওয়া কচুরিপানা ফুলের অপরূপ সৌন্দর্যে হারিয়ে যায় মন। যেন প্রকৃতি সেজেছে এক অপরূপ সৌন্দর্যে। পানির উপর বিছানো সারি সারি সবুজ পাতা আর ফুলের নয়নাভিরাম দৃশ্যে চোখ জুড়িয়ে যায়। দূর থেকে মনে হয় কেউ যেন সবুজ চাঁদরে ফুলের বিছানা পেতে রেখেছে।

বিশেষজ্ঞরা জানান, কচুরিপানা এক প্রকার ভাসমান জলজ উদ্ভিদ। বাংলাদেশের সকলের কাছে সুপরিচিত। বর্ষাকালে অত‍্যধিক পরিমাণে জন্মায় ও দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে নদী-নালা, খাল-বিল, হাওর-বাওর, পুকুর-জলাশয় ভরে তুলে। এটি অবাধ ভাসমান গুল্ম ও নিচে থেকে একথোকা লম্বা গুচ্ছমূল, ওপরে খর্বিত কাণ্ডে একথোকা পাতা। পাতার বোঁটা খাটো পেটমোটা ও স্পঞ্জি। পাতাবেষ্ঠিত মঞ্জুরি ১৫-২০ সে.মি লম্বা ও দণ্ডে থাকে ১০-১২ সে.মি লম্বা দৃষ্টিনন্দন ফুল। বাংলাদেশে কচুরিপানা একটি আগাছা। জন্মায় বদ্ধজলাশয়ে, খাল-বিল, ডোবা -নালাসহ সর্বত্র। বর্ষাকালে এ পানা দ্রুতই বংশ বৃদ্ধি করে।

সৌন্দর্যের পাপড়ি মেলে ধরা কচুরি ফুলের এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে অনেকেই তুলছেন ছবি। ছবির ক্যানভাসে একই ফ্রেমে আবদ্ধ হচ্ছেন তরুণ-তরুণীরা। খাল বিল ও জলাশয়ে ফুল ফুটে সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে। ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা খাল-বিল কিংবা নদী-নালা থেকে শিশির ভেজা কচুরিপানার ফুল তুলে খেলা করছে। গ্রামের মেয়েরা কেউবা খোঁপায় বাঁধছে এ ফুল।

চোখ জুড়ানো সবুজ পাতার মাঝে হালকা গোলাপী রঙয়ের কচুরিপানা ফুলের উঁকি হৃদয় জুড়িয়ে দেয়। ফোটা ফুলের সঙ্গে কুঁড়িগুলো মাথা তুলেছে নতুন করে ফোটার আশায়। সবুজ পাতা আর হালকা গোলাপী ফুলের মিলন মেলায় মনের আনন্দে নির্ভয়ে বিচরণ করছে পানকৌড়ি আর ডাহুক। ফুটন্ত ফুলের মাথায় খেলা করছে প্রজাপতি আর ভ্রমরের দল।

দক্ষিণ পাথালিয়া গ্রামের এস কে শামীম হোসেন বলেন, অনেক প্রকৃতিপ্রেমী তাদের মোবাইলে ও ক্যামেরায় এ অপরূপ ছবি ধারণ করেন এবং অনেক দর্শনার্থী এসে প্রকৃতির ছবি তুলছেন। এখানে তাকিয়ে থাকলেও চোখ জুড়িয়ে যায়। তিনি আরো জানান, এ অপরূপ দৃশ্য দেখার জন্য সারাদিনই ঝিনাই ও বৈরান নদীতীরে নানা বয়সী মানুষের আগমন ঘটছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *