
নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলে মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলনের ৬৬ বৎসর উদযাপন করা হয়েছে।
এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকাল ১১ ঘটিকায় টাঙ্গাইল সাধারণ গ্রন্থাগার মিলনায়তনে মওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা কবি বুলবুল খান মাহবুব। এ সময় মওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান খন্দকার নাজিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব মাহমুদুল হক সানুর সঞ্চালনায় মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাবন্ধিক, কবি ও সমাজ বিশ্লেষক অধ্যাপক শংকর দাস। বক্তব্য রাখেন মওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা হারুন অর রশিদ, সাধারণ গ্রন্থাগারের সম্পাদক কবি মাহমুদ কামাল প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ভাসানী ফাউন্ডেশনের ছাত্র, যুব ও সাংস্কৃতিক নেতৃবৃন্দসহ নানা শ্রেণি-পেশার লোকজন অংশগ্রহন করেন।
আলোচনা সভায় ১৯৫৭ সালে ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন নেতৃবৃন্দ। বক্তারা বলেন, ‘কাগমারী সম্মেলন’ ইতিহাসের অনন্য দলিল। স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী কখনও নিজের জন্য রাজনীতি করেননি। ক্ষমতার মোহ তাকে স্পর্শ করতে পারেনি। তিনি নেতাদের নেতা ছিলেন।
উপ-মহাদেশের তথা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান আজকের বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক ঘটনা হচ্ছে ১৯৫৭ সালের ‘কাগমারী সম্মেলন’। ১৯৫৭ সালের ৬, ৭ ও ৮ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইলের কাগমারীতে মওলানা ভাসানী ৫৪টি তোরণের মধ্য দিয়ে ‘ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলন’ উদ্বোধন করা হয়েছিলো। কাগমারী সম্মেলনে পশ্চিম পাকিস্তানিদের ‘ওয়ালাইকুম আসসালাম’ বলে পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসনের দাবি উত্থাপন করেন তিনি। সম্মেলনে মওলানা ভাসানী স্বায়ত্তশাসনের যে দাবি জানিয়েছিলেন তারই ধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে স্বাধীনতার আন্দোলন দানা বাঁধে।
কাগমারী সাংস্কৃতিক সম্মেলন ১৯৫৭ সালে অনুষ্ঠিত একটি বিশেষ তাৎপর্যবাহী জাতীয় সম্মেলন যা পরবর্তীতে পাকিস্তানের বিভক্তি এবং স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় বিশেষ ইঙ্গিতবহ ভূমিকা রেখেছিল। আসামে বাঙ্গাল খেদাবিরোধী আন্দোলন, লাইন প্রথাবিরোধী আন্দোলন এসব করতে গিয়েই মাওলানা ভাসানী প্রথম বাঙালি জাতিসত্তার অনুকূলে পৃথক একটি জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্নবীজ বপন করেছিলেন।