নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলে “দেশের বায়ু দেশের মাটি, গাছ লাগিয়ে করবো খাঁটি” স্লোগানে, পরিবেশপ্রেমী তরুণরা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের দুই পাশে ১ হাজার বৃক্ষরোপণের কার্যক্রম শুরু করেছে। এ মহাসড়কের তারুটিয়া ওভার ব্রিজ থেকে ঘারিন্দা ওভার ব্রীজ পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তার দুই পাশে ২ আগস্ট, শুক্রবার থেকে কাঠবাদাম রোপণের কার্যক্রম শুরু করেন তারা।
টাঙ্গাইল জেলা শহরের বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এস আই মাহমুদুল হাসান মিঠু তার সমমনা বন্ধুদের নিয়ে এই উদ্যোগ গ্রহণ করেন। বৃক্ষরোপণ কার্যক্রমে তার সাথে অংশগ্রহণ করেন সেলিম রেজা বাপ্পি, আসাদুজ্জামান মানিক, নাসিফ হাসান খান জীবন, আবু সাইফ, শাহ আসিফ কামাল তৌসিফ, অভি, রোমন, ইকবাল, আমিনুল ইসলাম শুভ, আবিদ হাসান মুন্না, সিয়াম, তোফাজ্জল, জসীমসহ অন্যান্য তরুণ বন্ধুরা।
টাঙ্গাইল জেলা শহরের আকুর টাকুরপাড়া এলাকার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এস আই মাহমুদুল হাসান মিঠু বলেন, এই কার্যক্রমে বন্ধুদের পাশাপাশি আর্থিকভাবে সহযোগিতা করেছেন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা উপশম। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সবুজ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে তরুণ বন্ধুদের সাথে নিয়ে আমাদের এই উদ্যোগ। বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে সবুজ বাংলাদেশ গড়ার শপথ নেয় তার এক ঝাঁক তরুণ বন্ধুরা।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড টাঙ্গাইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাশেদ খান মেনন (রাসেল) বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও পুলিশ সদস্য মিঠুর বৃক্ষরোপনের এ কার্যক্রম তরুণ প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করবে। সংগঠনের পক্ষ থেকে এ কার্যক্রমকে সাধুবাদ জানাই। পরিবেশকে সমৃদ্ধ করতে এই মহৎ কার্যক্রমে আমরাও পাশে রয়েছি।
বৃক্ষরোপন কার্যক্রমের আয়োজকগণ জানান, প্রথমদিনেই তারা ৫শত কাঠবাদাম গাছ রোপন করেছেন। তাদের উদ্দেশ্য শুধু চারাগাছ রোপণই নয়, বৃক্ষরোপণের বার্তাটি সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া যাতে করে সবাই উদ্বুদ্ধ হয়। এছাড়াও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান, প্লাস্টিক দূষণ কমানোসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের মাঝে জনসচেতনতা তৈরীসহ নানা উদ্যোগ হাতে নিয়েছেন তারা।
আয়োজকগণ আরো জানান, আমরা চাই আমাদের এই ক্ষুদ্র উদ্যোগে যেন সবাই অনুপ্রাণিত হয়। শুধু গাছগুলো রোপণ করেই আমাদের কাজ থেমে থাকবে না, রোপণকৃত গাছগুলোর পরিচর্যা করবো। এই কর্মসূচির মাধ্যমে পরিবেশকে আমরা গাছ উপহার দিয়েছি। যা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মও এর ফল পাবে। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম শুরুর আগে আমরা সড়ক ও জনপথ বিভাগের অনুমতি নিয়েছি। স্বেচ্ছাসেবী তরুণদের সাথে নিয়ে আগামীতেও এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
এদিকে, পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে বৃক্ষের কোনো বিকল্প না থাকায় টাঙ্গাইলে তরুণদের এমন উদ্যোগের প্রশংসা করেছে সকলেই।