মধুপুর প্রতিনিধি: মধুপুর বাসস্ট্যান্ডের আনারস চত্বর এলাকায় কোটাবিরোধী আন্দোলন ঘিরে ভাঙচুরের সময় পুলিশের ছোড়া রাবার বুলেটে আহত খায়রুল বাঁ চোখে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চিকিৎসা ব্যয়ের অর্থের জোগান নিয়ে এখন দুশ্চিন্তায় আছে তার পরিবার।
জানা যায়, হতদরিদ্র রাজমিস্ত্রি খায়রুল বিয়ে করেছে দুই মাস আগে। এই সময়ে মান-অভিমানে তার স্ত্রী বাপের বাড়ি চলে যান। অভিমান ভেঙে ১৮ জুলাই বিকালে স্ত্রী লেগুনায় করে স্বামীর বাড়ি রওনা হন। তার কাছে ভাড়া নেই। খবর পেয়ে স্ত্রীকে এগিয়ে আনতে যান স্বামী রাজমিস্ত্রি খায়রুল। রাস্তায় যেতেই রাবার বুলেটে রাজমিস্ত্রি খায়রুল বাঁ চোখে আঘাতপ্রাপ্ত হন।
মধুপুর বাসস্ট্যান্ডের আনারস চত্বর এলাকায় কোটাবিরোধী আন্দোলন ঘিরে ভাঙচুরের সময় পুলিশের ছোড়া রাবার বুলেটে এ ঘটনায় রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে পাঠানো হয় ময়মনসিংহে। সেখানে দুদিন রেখে পাঠানো হয় ঢাকা চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে। ২১ তারিখে ভর্তি করে ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ডা. খায়ের আহমেদের তত্ত্বাবধানে খায়রুলের বাঁ চোখে অস্ত্রোপচার করা হয়। আগামী সোমবার সেলাই খুললে বোঝা যাবে চোখ সচল না অচল। এছাড়া তার ডান চোখেও আঘাতের ছাপ স্পষ্ট।
খায়রুল মধুপুর উপজেলার মির্জাবাড়ী ইউনিয়নের ফাজিলপুর গ্রামের দিনমজুর সায়েদ আলীর ছেলে। খায়রুল জানান, প্রতিবেশী অবসরপ্রাপ্ত এক সেনা কর্মকর্তার দেওয়া ১০ হাজার টাকা সহায়তায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষ হয়েছে। বাকি চিকিৎসা ব্যয়ের অর্থের জোগান নিয়ে এখন দুশ্চিন্তায় আছেন।
খায়রুলের মা খাদিজা, চাচা হায়েত আলী জানান, পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করে অর্থ সংকটে খায়রুলের আর পড়া হয়নি। তাই সংসার চালাতে সে রাজমিস্ত্রি কাজে যুক্ত হয়।