মির্জাপুর প্রতিনিধি: মির্জাপুর রেল স্টেশনের অদূরে ঢাকাগামী মৈত্রী এক্সপ্রেস ও খুলনাগামী চিত্রা এক্সপ্রেসে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এতে মৈত্রী এক্সপ্রেসের চালক তৌহিদুজ্জামানসহ ছয়জন আহত হয়েছেন। মির্জাপুর রেল স্টেশন মাস্টার কামরুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্টেশন মাস্টার কামরুল হাসান বলেন, শুক্রবার (২৪ মার্চ) দুপুর ও রাতে মির্জাপুর স্টেশন এলাকার বাওয়ার কুমারজানি পূর্বপাড়া ও পশ্চিমপাড়া এলাকায় ঢাকাগামী মৈত্রী এক্সপ্রেস ও খুলনাগামী চিত্রা এক্সপ্রেসে এ ঘটনা ঘটে। পরে আহত চালক তৌহিদুজ্জামান রেলওয়ে পুলিশে লিখিত অভিযোগ দেন।
খুলনাগামী চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনে পাথরের আঘাতে আহত এক যাত্রী সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার রায়দৌলৎপুর গ্রামের আব্দুস ছবুরের ছেলে ইলিয়াস সরকার। তিনি জানান, রাত সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা থেকে সিরাজগঞ্জের উদ্দেশ্যে ওই ট্রেনে উঠেন। রাত আনুমানিক ৯টার দিকে মির্জাপুর রেল স্টেশনে পৌঁছার ঠিক আগ মুহূর্তে আচমকা পাথর এসে তার কপালে লাগে। এতে কপাল ফেটে রক্ত ঝরতে থাকে। এ ঘটনায় তার পাশে থাকার আরও চার যাত্রী আহত হন।
ওই সময় ট্রেনে পাকশী রেলওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) নাজিউর রহমান দায়িত্বে ছিলেন। তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আহতদের ট্রেনেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে একই দিন বিকাল ৩টার দিকে কলকাতা থেকে ঢাকাগামী মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনটি মির্জাপুর স্টেশনে পৌঁছার পর দুর্বৃত্তরা পাথর ছুড়ে। এই ঘটনায় ট্রেনের চালক তৌহিদুজ্জামান গুরুতর আহত হন।
মির্জাপুর স্টেশনের মাস্টার কামরুল হাসান আরও জানান, শনিবার তার চোখে অস্ত্রপচার হওয়ার কথা।
এদিকে, ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের খবরে শনিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন ঢাকা রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফেরদৌস আহমেদ, টাঙ্গাইল রেলওয়ে পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ফজলুর রহমান ও মির্জাপুর থানা পুলিশ। তারা মির্জাপুর পৌরসভার কাউন্সিলর আলী আজম সিদ্দিকী, হাফিজুর রহমান, রওশনারা বেগম, সাবেক কাউন্সিলর সাজুসহ স্থানীয় কয়েকজন তরুণ যুবকদের নিয়ে সচেতনতামূলক বৈঠক করেন।
ঢাকা রেলওয়ে থানার ওসি ফেরদৌস আহমেদ বলেন, ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনায় কোনো যাত্রী লিখিত কোনো অভিযোগ করেননি। তবে ঢাকা রেলওয়ে থানায় একটি সাধারণ ডাইরি করা হয়েছে।