কালিহাতী উপজেলার মওলানা ভাসানী উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ

কালিহাতী দুর্নীতি ফিচার শিক্ষা

কালিহাতী প্রতিনিধি: টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতী উপজেলার মওলানা ভাসানী উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগসহ নানাবিধ দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্কুলের সহকারী শিক্ষক মিনা আক্তারের উপর অমানবিক নির্যাতন, এমপিও ভুক্তি ও কর্তব্য কাজে বাঁধা প্রদান, সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অমান্যকরণ, কতিপয় শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগে ঘুষগ্রহণ ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির আভিযোগ এনে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত দেয়া হয়েছে।

লিখিত অভিযোগে প্রতিষ্ঠানের সাথে সংশ্লিষ্ট পরিচালনা পরিষদের কর্মকর্তা, প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক ও অন্যান্য মোট ১৮জনকে বিবাদী করা হয়েছে। বিবাদীদের মধ্যে হলেন- মওলানা ভাসানী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আব্দুল বাছেদ সিদ্দিকী, বিদ্যালয় কমিটির সাবেক সভাপতি মোঃ ছরোয়ার আলম, বর্তমান প্রধান শিক্ষক মোঃ হযরত আলী, সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ ইনসান আলী, সাবেক সাধারণ শিক্ষক সদস্য মোঃ রফিকুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষিকা শামীমা নাসরিন, সহকারী শিক্ষক জামাল বাদশা, সহকারী শিক্ষক আফজাল হোসেন মোল্লাহ, বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা মোঃ হাসমত আলী নেতা, বিদ্যালয়ের করণিক মোঃ আনিছুর রহমান প্রমুখ।

অভিযোগে জানা যায়, ২০১৬ খ্রি. ৫ জুন উক্ত নিম্ন মাধ্যমিক প্রতিষ্ঠানে মিনা আক্তার সহকারী শিক্ষক (গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান) পদে নিয়োগ গ্রহণ করে অদ্যাবধি দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বর্তমানে উক্ত প্রতিষ্ঠানটি নিম্ন মাধ্যমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে পরিবর্তন হওয়ায় এমপিও ভূক্তির জন্য আবেদন করলে বিবাদীগণ মোটা অঙ্কের টাকা ঘুষ দাবী করেন। একাধিকবার অনুরোধ করার পরও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় তিনি সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হয়। সুপ্রিম কোর্টের রীট পিটিশন মামলার রায় তার পক্ষে প্রদান করে। তিনি রায়ের কপি নিয়ে প্রতিষ্ঠানে সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সদস্যসহ শিক্ষক-কর্মচারীদের সামনে পেশ করলে সাবেক প্রধান শিক্ষক আব্দুল বাসেদ সিদ্দিকীসহ বিবাদীরা শারিরীকভাবে নির্যাতন ও হুমকি প্রদান করে প্রতিষ্ঠান থেকে তাকে জোর করে বের করে দেন।

লিখিত অভিযোগে জানা যায়, মহামান্য সুপ্রীম কোর্ট হাইকোর্ট বিভাগ-এর আদেশ অমান্য করে ২০২৪ খ্রি. ২৫ ফেব্রুয়ারি প্রধান শিক্ষক মোঃ হযরত আলী ও সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে মোঃ ইনছান আলী যোগদান করেন। মামলা থাকাকালিন কোন শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া অবৈধ এবং তা বাতিল যোগ্য। বেসরকারী শিক্ষক ও কর্মচারীর নিয়োগ সংক্রান্ত নিয়ম নীতিমালা তোয়াক্কা না করে আইন বহিঃভূতভাবে সহকারী শিক্ষিকা শামীমা নাসরিন, সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ ফজলুল হক, সহকারী শিক্ষক (গণিত) মোহাম্মদ আফজাল হোসেন মোল্লাহ, সহকারী শিক্ষক জামাল বাদশা (কৃষি শিক্ষা) অত্র প্রতিষ্ঠানে এমপিও ভুক্ত হন। এছাড়া, সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে মোঃ ইনছান আলী তার সাবেক কর্মক্ষেত্র কালিহাতী উপজেলার সল্লা সমবায় উচ্চ বিদ্যালয় থেকেও বেতনভাতা গ্রহণ করছেন বলে জানা গেছে।

উপরে উল্লেখিত বিষয়সহ অন্যান্য অভিযোগ প্রসঙ্গে সঠিকভাবে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিকট দাবী জানানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *