ভূঞাপুর প্রতিনিধি: ভূঞাপুরে ঘুমন্ত স্বামীর বিশেষ অঙ্গ কেটে বিচ্ছিন্ন করে পালিয়েছে স্ত্রী। পরে আহত স্বামীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
স্ত্রীর পরকীয়া জানতে পারায় এমন ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার সকালে উপজেলার রাউৎবাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর তার স্ত্রী জাকিয়া শিশুসন্তান রেখে পালিয়েছে। আহত স্বামী ফিরোজ (২৫) ওই গ্রামের শাহজাহানের ছেলে।
প্রতিবেশী ও স্বজনরা জানান, অভিযুক্ত জাকিয়া জিগাতলা গ্রামের জামিলের মেয়ে। পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। বিভিন্ন বিষয়ে জাকিয়ার সঙ্গে ভুক্তভোগীর ঝগড়া হতো। এনিয়ে একাধিকবার গ্রাম্য সালিশ হয়। গতকাল মঙ্গলবার রাতেও এই দম্পতিরে মধ্যে ঝগড়া হয়। আজ বুধবার ভোরে ঘুমন্ত স্বামীর গোপনাঙ্গ কেটে জাকিয়া পালিয়ে যান।
ফিরোজের মামা আরজু জানান, বিয়ের পর থেকে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। সকালে ঘুমানো অবস্থায় ভাগিনার বিশেষ অঙ্গ কেটে ফেলে তার স্ত্রী। পরে পাশের লোকজন খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
ভুক্তভোগী ফিরোজ বলেন, ভোরে ঘুমিয়ে ছিলাম। স্ত্রী হঠাৎ করে লিঙ্গ কেটে ফেলে। চিৎকার শুনে পরিবার ও প্রতিবেশীরা এসে আমাকে উদ্ধার করেন। স্ত্রী জাকিয়া পালিয়ে গেছেন।
স্থানীয়রা জানান, তার স্বামী ফিরোজ স্ত্রী জাকিয়ার পরকীয়ার কথা জানতে পারায় এ নিয়ে তাদের মধ্যে কলহ চলছিল। এরই জেরে তার স্বামীর বিশেষ অঙ্গ কর্তন করে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় সে।
গোবিন্দাসী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দুলাল হোসেন চকদার বলেন, বিষয়টি জেনেছি। খোঁজ নিয়ে জানতে পারি ভুক্তভোগীকে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন স্থানীয়রা। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা চলছিল। এনিয়ে একাধিকবার সালিশ করা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপসহকারী মেডিকেল অফিসার কাজল তালুকদার বলেন, বিশেষ অঙ্গের পুরো অংশ কেটে ফেলা হয়েছে। এতে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আহসান উল্লাহ বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। এই বিষয়ে অভিযোগ পেলে আসামীকে দ্রুত গ্রেফতারপূর্বক আইনের আওতায় আনা হবে।