সখীপুর প্রতিনিধি: সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত-সমালোচিত সখীপুর উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরকার নূরে আলম মুক্তাকে প্রতিবেশী এক নারীকে মারধরের মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে নাগরপুর-সখিপুর আমলি আদালতের বিচারক নওরিন করিম তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টাঙ্গাইলের আদালত পরিদর্শক তানভীর আহম্মেদ।
জানা যায়, মারধরের শিকার জেসমিন আক্তার (৩৫) ইউপি চেয়ারম্যান নূরে আলম মুক্তা ও অপর প্রতিবেশী রুবেলর (৩৫) বিরুদ্ধে মামলা করেন। সেই মামলায় জামিন নিতে গেলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে আসামীদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, গত শনিবার (২ মার্চ) বিকেলে সখীপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওর্য়াডে মারধরের ঘটনা ঘটে। অপরদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভুক্তভোগী নারীকে মারধরের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সখীপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন ওই নারী। একই এলাকায় থাকেন উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরকার নূরে আলম মুক্তা। দুজনের মেয়েই স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। সম্প্রতি চেয়ারম্যানের মেয়ে ও ওই নারীর মেয়ের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনায় দ্বন্দ্ব হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যানের স্ত্রী বিদ্যালয়ে গিয়ে ওই নারীর মেয়েকে গালিগালাজ করেন। এর বিচার চাইতে গেলে মারধরের শিকার হন ভুক্তভোগী নারী।
ভিডিও তে দেখা যায়- ভুক্তভোগী ওই নারী তার সন্তানের বিচার চাইতে প্রতিবেশী চেয়ারম্যান সরকার নূরে আলম মুক্তার কাছে যান। এ সময় ওই নারী উত্তেজিত হয়ে কথা বলায় প্রতিবেশী রুবেল এসে তার সঙ্গে বাগবিতণ্ডা শুরু করেন। এরপর রুবেল প্রথমে মারধর করেন। পরে চেয়ারম্যানও তাকে মারধর করেন।