নিজস্ব প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের আটটি আসনের মধ্যে পাঁচটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও তিনটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। রবিবার রাতে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোঃ কায়ছারুল ইসলাম ফলাফল ঘোষণার সময় বেসরকারিভাবে তাদের বিজয়ী ঘোষণা করেন।
নির্বাচনে বিজয়ীরা হচ্ছেন- টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক নৌকা প্রতীক নিয়ে ১,৭৪,১২২ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী খন্দকার আনোয়ারুল হক ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৪,১৭৮ ভোট।
টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছোট মনির নৌকা প্রতীক নিয়ে ১,৫১,৭৩০ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইউনুস ইসলাম তালুকদার ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ৩০,৪৮৬ ভোট।
টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আমানুর রহমান রানা ঈগল প্রতীক নিয়ে ৮২,৭৪৮ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ডা. কামরুল হাসান নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৬৯,০৩৫ ভোট।
টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী ট্রাক প্রতীক নিয়ে ৭০,৯৪০ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোঃ মাজহারুল ইসলাম তালুকদার নৌকা নিয়ে পেয়েছেন ৫৪,০৭৫ ভোট।
টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছানোয়ার হোসেন ঈগল প্রতীক নিয়ে ৭২,২৭৬ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী মানুর অর রশিদ নৌকা নিয়ে পেয়েছেন ৬৫,৮৬৭ ভোট।
টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আহসানুল ইসলাম টিটু নৌকা প্রতিক নিয়ে ১,১২,৬৮৪ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী তারেক শামস খান হিমু ঈগল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩১,২৯২ ভোট।
টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী খান আহমেদ শুভ নৌকা নিয়ে ৮৮,৩৯৩ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মীর এনায়েত হোসেন মন্টু ট্রাক প্রতীক নিয়ে ৫৭,২৩১ ভোট পেয়েছেন।
টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখিপুর) আসনে আওয়ামী লীগের অনুপম শাহজাহান জয় নৌকা প্রতীক নিয়ে ৯৬,৪০১ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী গামছা প্রতীক নিয়ে ৬৭,৫০১ ভোট পেয়েছেন।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ কায়ছারুল ইসলাম জানান, ১২টি উপজেলার আটটি সংসদীয় আসনের এক হাজার ৫৬ টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হয়। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য ১২ প্লাটুন সেনাবাহিনী, ১৪ প্লাটুন বিজিবি, ১২ প্লাটুন র্যাব ও ১২ হাজার ৬৭২ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্য দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও প্রতিটি কেন্দ্রে ৩ জন পুলিশ সদস্য ও ১৫ জন আনসার সদস্য মোতায়েন ছিলো। পুলিশের মোবাইল টিম ছিলো ৭৬টি ও স্ট্রাইকিং ফোর্স ছিলো ২৪টি টিম।