নিজস্ব প্রতিবেদক: দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বাতিঘর আদর্শ পাঠাগারে মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে।
শনিবার, ১৬ ডিসেম্বর সকালে পাঠাগার প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এর মাধ্যমে কর্মসূচির সূচনা হয়। এরপর মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা এবং শহীদদের আত্মার শান্তি কামনায় দোয়ার আয়োজন করা হয়।
সকাল ১০ ঘটিকায় পাঠাগার প্রাঙ্গণে আয়োজিত এ কুইজ প্রতিযোগিতা উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৭ থেকে ১২ বছর বয়সের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়। প্রতিযোগিতায় ‘ক’ ক্যাটাগারিতে প্রথম স্থান অধিকার করে ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী স্বাধীন, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী রাকিব এবং তৃতীয় স্থান অধিকার করে ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী আল রাফি; ‘খ’ ক্যাটাগরিতে প্রথম স্থান অধিকার করে ৩য় শ্রেণির শিক্ষার্থী তাহের, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে ২য় শ্রেণির শিক্ষার্থী মোঃ হোসাইন এবং তৃতীয় স্থান অধিকার করে ৩য় শ্রেণির শিক্ষার্থী মোঃ তামিম। পরে বিজয়ীদের মাঝে বিশেষ পুরস্কার এবং অংশগ্রহণকারী প্রত্যেককে বই ও সনদপত্র দেওয়া হয়।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাতিঘর আদর্শ পাঠাগারের সভাপতি মোঃ শাহজাহান, লাইব্রেরিয়ান মোঃ হাবিবুর রহমান, সদস্য মনসুর হেলাল, মোঃ শাকিল আহমেদ ও অন্যান্য সদস্যবৃন্দ। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে প্রতিযোগিদের অভিভাবক, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ‘এসো বই পড়ি, নিজেকে আলোকিত করি’ স্লোগানকে সামনে রেখে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চৌরাকররা গ্রামে ২০১০ সালে গড়ে ওঠে বাতিঘর আদর্শ পাঠাগার। প্রতিষ্ঠার পর থেকে পাঠাগারটি মানুষের মধ্যে পাঠাভ্যাস তৈরি ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে সেলুন, বাসস্ট্যান্ড ও স্টেশন অণু-পাঠাগার স্থাপনসহ শিক্ষামূলক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি আর্তমানবতার সেবায় বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।