নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলে মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যায় জালিয়াতির মাধ্যমে জামিনে মুক্তি পাওয়া সাবেক পৌর মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি জামিন বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। তাকে অবিলম্বে আত্মসমপর্ণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রবিবার, ২৬ নভেম্বর হাইকোর্ট এই নির্দেশ দেন।
টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার আসামি সাবেক পৌর মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি বুধবার দুপুরে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য তিনি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালে সহকারী পরিচালক খন্দকার সাদিকুর রহমান। তিনি আরো জানান, সহিদুর রহমান খান মুক্তি বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্টে ভুগছেন।
এর আগে সোমবার উচ্চ আদালত থেকে সহিদুর রহমান খান মুক্তি জামিন পান বলে জানান টাঙ্গাইল আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত কৌঁসুলি (এপিপি) মনিরুল ইসলাম খান।
সহিদুর রহমান খান মুক্তি টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আতাউর রহমান খানের ছেলে। তার ভাই আমানুর রহমান খান রানা ওই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য।
এপিপি মনিরুল ইসলাম খান বলেন, হত্যা মামলায় ২০২২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে অর্ন্তবর্তীকালীন জামিন পেয়েছিলেন সহিদুর রহমান খান মুক্তি। পরে মামলার বাদী অর্ন্তবর্তীকালীন জামিনের মেয়াদ বর্ধিত না করার জন্য আদালতে আবেদন করেন।
শুনানি শেষে একই বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি আদালত জামিন বাতিলের আদেশ দেয়। এরপর থেকে সহিদুর রহমান খান মুক্তি কারাগারে ছিলেন বলে জানান তিনি। আপিল বিভাগ গত ২৭ আগস্ট মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলার বিচারকাজ ছয় মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেন। আপিল বিভাগের নির্দেশনা গোপন করে ২০ নভেম্বর হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ থেকে সহিদুর রহমান খান মুক্তি জামিন পান। ওই আদেশ কারাগারে পৌঁছালে ২২ নভেম্বর তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।