সুলতান কবির: সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে, উন্নয়ন ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন নিয়ে সমাবেশ করেছে গোপালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ।
মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর বিকেলে উপজেলার সূতী ভি. এম পাইলট সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ উপলক্ষে জনসভার আয়োজন করা হয়। এ সময় টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় স্থানীয় সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনিরকেও সংবর্ধনা দেয়া হয়।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আলমনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মোমেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নারায়নগঞ্জ- ২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, মাগুরা- ১ আসনের সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শেখর। সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্য রাখেন টাঙ্গাইল-২ আসনের সংসদ সদস্য ছোট মনির।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আনিসুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সুভাষ চন্দ্র সাহা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক সাইফুল ইসলাম তালুকদার সুরুজ, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, হরতাল অবরোধের নামে বিএনপি ও জামায়াত দেশ জুড়ে অগ্নিসন্ত্রাস, জ্বালাও পোড়াও, নৈরাজ্য এবং খুনখারাপি শুরু করেছে। সরকার গণতন্ত্র তথা নির্বাচন কার্যক্রমকে যেমন এগিয়ে নিয়ে যাবে তেমনি এ সব অপশক্তিকে শক্ত হাতে দমন করবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে আবার সরকার গঠন করবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন। একই সাথে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতিকে ভোট দিয়ে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সকল নেতাকর্মী ও জনসাধারণের কাছে ভোট চেয়েছেন বক্তারা।
সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোটমনির বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশে উন্নয়নের রোল মডেল। এই উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে হলে পূনরায় নৌকায় ভোট দিয়ে নৌকা প্রার্থীকে বিজয়ী করতে হবে। তিনি তার সংসদীয় আসনে যে পরিমাণ রাস্তাঘাট স্কুল কলেজ মসজিদ মন্দিরের উন্নয়ন করেছে। বিগত সরকার এই উন্নয়ন করতে পারেনি। সমাবেশে মানুষের জনসমুদ্রই প্রমাণ করে মানুষ আবারও তাকে সংসদ সদস্য হিসেবে চায়।
প্রধানমন্ত্রী তাকে আবারও মনোনয়ন দিলে বিপুল ভোটে এই আসনে নৌকার বিজয় হবে বলে মনে করেন তিনি।
এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও জেলা উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী, সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।