নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হাসানের উপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছে ছাত্রলীগের একাংশ। এর আগে সোমবার, ১৬ অক্টোবর সন্ধ্যায় শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হাসানের উপর ৪-৫ ব্যক্তি হামলা চালায়।
মঙ্গলবার শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যান থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে স্থানীয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে গিয়ে প্রতিবাদ সভায় মিলিত হয়। সভায় শহর ছাত্রলীগের সভাপতি মীর ওয়াছেদুল হক তানজীল, সখীপুর উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক রাসেল আলম মামুন, যুগ্ম-আহবায়ক সাইফুল ইসলাম হৃদয়, সখীপুর শহর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান, এলেঙ্গা পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ আল আমিন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিজান, ঘাটাইল পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তপু চন্দ্র ঘোষ, টাঙ্গাইল টেক্সাইল ইন্সটিটিউটের সভাপতি আকাশ আহমেদ সূর্য, সাধারণ সম্পাদক মীর আজিজ, টাঙ্গাইল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের সাধারণ সম্পাদক মুক্তার দুর্জয়, ভূঞাপুর ইব্রাহিম খাঁ সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি হায়দার আলী, ভূঞাপুর শহর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান চকদার প্রমুখ অংশ নেন।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হাসান বক্তব্যে অভিযোগ করেন, টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব গোলাম কিবরিয়া বড় মনি কারাগারে যাওয়ার আগে তাকে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার, ১৬ অক্টোবর সন্ধ্যায় শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গেলে বড় মনির ৪-৫ জন অনুসারী তার উপর হামলা করে। জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে তিনি আইনের আশ্রয় নেবেন।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব গোলাম কিবরিয়া বড় মনি জানান, একটি সাজানো যৌন নিগ্রহের মামলায় তিনি সবেমাত্র জামিনে মুক্ত হয়ে অসুস্থাবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। এরই মধ্যে অপর একটি ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের উপর হামলার বিষয়টি তাদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে ঘটে থাকতে পারে। এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। অহেতুক তাকে দোষারোপ করে একটি মহল ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা করছে।