নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইল শহরের আকুরটাকুর পাড়ায় অভিযান চালিয়ে নাহিদ চৌধুরী নামের এক অপহৃতকে উদ্ধার ও অপহরণকারী দলের আট সদস্যকে গ্রেফতার করেছে টাঙ্গাইল সদর থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে গ্রেফতারের পর অপহরণকারীদের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবু ছালাম মিয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার নারায়নপুর গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে আব্দুল্লাহ আল নোমান (২৮), গাজীপুর জেলার মৌচাক চা বাগান গ্রামের (বর্তমানে টাঙ্গাইল শহরের পারদিঘুলিয়ায় বসবাসরত) মোঃ শাহীনের ছেলে রাকিব (১৯), টাঙ্গাইল শহরের দক্ষিণ কলেজপাড়ার রমজান মন্ডলের ছেলে মহম্মদ মন্ডল (৪০), সঞ্জু মন্ডলের ছেলে নাউম মন্ডল (২০), আনোয়ার হোসেনের ছেলে রনি (১৯), আরজু মিয়ার ছেলে আলম মিয়া (১৯), জমের মোল্লার ছেলে কাশেম মোল্লা (১৯) ও পারদিঘুলিয়ার মৃত মজিবর মিয়ার ছেলে বাবুল মিয়া (৪০)।
জানা গেছে, কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার নারায়নপুর গ্রামের আঃ কাইয়ুম রুবেল চৌধুরীর ছেলে মোঃ নাহিদ চৌধুরীকে (২৫) একই গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে আব্দুল্লাহ আল নোমানসহ ১২-১৩ জন মিলে কুমিল্লা জেলা সদরের কোতোয়ালি থানা এলাকা থেকে কৌশলে অপহরণ করে।
পরে তাকে টাঙ্গাইল শহরের আকুরটাকুর মুসলিমপাড়া একটি বাসায় আটকে রেখে তার মা মোছা. নাছিমা আক্তার শিমার কাছে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণ দাবির এক পর্যায়ে নাহিদ চৌধুরীর মা মোছা. নাছিমা আক্তার শিমা বিকাশের মাধ্যমে ৪ হাজার টাকা অপহরণকারীদের কাছে পাঠায়। এতে অপহরণকারীরা ক্ষুব্ধ হয়ে নাহিদ চৌধুরীর ওপর ব্যাপক শারীরিক নির্যাতন চালায়। পরে মোছা. নাছিমা আক্তার শিমা কুমিল্লা কোতোয়ালি থানায় বিষয়টি অবগত করলে তারা টাঙ্গাইল সদর থানা পুলিশকে বিষয়টি জানায়।
টাঙ্গাইল থানা পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তৎপরতা চালিয়ে অপহরণকারীদের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে শহরের আকুরটাকুর মুসলিমপাড়ার একটি বাসায় অভিযান চালায়। অভিযানে অপহৃত নাহিদ চৌধুরীকে উদ্ধার ও অপহরণকারী চক্রের ওই আট সদস্যকে গ্রেফতার করে।
টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবু ছালাম মিয়া জানান, অপহৃত নাহিদ চৌধুরীর মা নাছিমা আক্তার শিমা বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। অপহৃতকে উদ্ধার করাসহ গ্রেফতারকৃত আট অপহরণকারীর ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।