ভূঞাপুরে মাধ্যমিকের ১৮ প্রধান শিক্ষককে একসঙ্গে কারণ দর্শানোর নোটিশ

ফিচার ভূঞাপুর শিক্ষা

ভূঞাপুর প্রতিনিধি: ভূঞাপুরে ৫০তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার প্রস্তুতিমূলক সভায় অংশ না নেওয়ায় ১৮ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও দাখিল মাদরাসার সুপারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

 

মঙ্গলবার, ২৯ আগস্ট দুপুরে ভূঞাপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, ৫০তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উপলক্ষে গত ২৪ আগস্ট ভূঞাপুর উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে প্রস্তুতিমূলক সভার আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ভূঞাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোছা. নার্গিস আক্তার। সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ বেলাল হোসেন। সভায় উপজেলার মাধ্যমিক ও দাখিল মাদরাসার ১৮ প্রধান শিক্ষক ও সুপার কোনো কারণ ছাড়াই সভায় উপস্থিত ছিলেন না।

 

এ বিষয় নিয়ে সভায় উপস্থিত অতিথি ও অন্যান্য প্রধান শিক্ষক এবং সুপারদের মাঝে নানা আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়। ওই সভায় অনুপস্থিত ১৮ প্রধান শিক্ষক ও সুপার কেন উপস্থিত ছিলেন না, এ মর্মে ব্যাখা চেয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান কারণ দর্শানোর জন্য গত ২৭ আগস্ট নোটিশ দেন। নোটিশে ৭ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর সন্তোষজনক জবাব না পেলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে সুপারিশ করা হবে বলে উল্লেখ রয়েছে।

ভূঞাপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, গত ২৪ আগস্ট ৫০তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার প্রস্তুতি সভায় যে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও সুপার উপস্থিত ছিলেন না তাদেরকে কারণ দর্শানোর জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করা হবে।

এ কারণ দর্শানোর নোটিশের বিষয়টি জানতে চাইলে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও মাদরাসা সুপার নানারকম অজুহাতের কথা জানান।

ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ বেলাল হোসেন জানান, গ্রীষ্মকাল খেলাধুলা জাতীয় বিষয়। উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এ সংক্রান্ত কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে থাকেন। গ্রীষ্মকালীন খেলাধুলা কার্যক্রম সফল করার লক্ষ্যে গত ২৪ আগস্ট প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান উপস্থিত ছিলেন না। কেন উপস্থিত ছিলেন না তার কারণ জানতে চেয়ে নোটিশ দিয়েছেন উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা। সন্তোষজনক জবাব না পেলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে এটাই স্বাভাবিক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *