সখীপুরে জোড়া খুন: পুলিশ তিন দিনেও আসামী গ্রেফতার করতে পারেনি

সখীপুরে জোড়া খুন: পুলিশ তিন দিনেও আসামী গ্রেফতার করতে পারেনি

ফিচার সখিপুর

সখীপুর প্রতিনিধি: সখীপুর উপজেলায় আলোচিত জোড়া খুনের ঘটনার তিনদিন পেরিয়ে গেলেও কোনো আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। গত বুধবার, ১৯ জুলাই রাতে উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের বাঘেরবাড়ি গ্রামের বাংলাবাজার এলাকার নিভৃত পল্লীতে দুর্বৃত্তদের হাতে নির্মমভাবে খুুন হন চাচা মজনু মিয়া (৫০) ও ভাতিজা শাহজালাল (৪০)। দুষ্কৃতিকারীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে চাচা-ভাতিজাকে। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাতে নিহত শাহজালালের বাবা আবুল হোসেন বাদী হয়ে সখীপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

 

এদিকে, ময়নাতদন্ত শেষে শুক্রবার বাদ আসর পারিবারিক কবরস্থানে নিহতদের দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। শনিবার সরেজমিনে ঘুরে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, এ ধরণের নৃশংস হত্যাকাণ্ড তারা জীবনেও দেখেনি। পুলিশ যদি খুনীদের শনাক্ত করে গ্রেফতার করতে না পারে, পুলিশের ওপর মানুষের আস্থা থাকবে না।

 

বাঘেরবাড়ি গ্রামের নূরুল ইসলাম বলেন, জোড়া খুনের ঘটনায় পুরো গ্রামজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। রাতে এলাকায় চলাফেরা করলে গা ছম ছম করে। সন্ধ্যা হলেই দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায় এবং মানুষ ঘরে ফিরে যাচ্ছে। গ্রামবাসী স্তব্ধ হয়ে গেছে। অতি প্রয়োজন ছাড়া পারত পক্ষে কেউ রাতে ঘর থেকে বের হচ্ছে না। গ্রামবাসী দ্রুত সময়ের মধ্যে দোষীদের শনাক্ত করে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। নিহতদের স্বজনদের আহাজারি এখনো থামেনি। এমন মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না তারা।

 

কাকড়াজান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ দুলাল হোসেন জানান, নিহতদের পরিবারের স্বজনদের আমি বারবার খোঁজ-খবর নিচ্ছি। পুলিশের প্রতি দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামীদের শনাক্ত করে গ্রেফতার ও খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি। গ্রামবাসীও এ খুনের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

এদিকে, টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহের পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগসহ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট ঘটনাস্থল পরির্শন করেছেন। সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, জোড়া খুনের রহস্য উদ্ঘাটনে ও আসামী গ্রেফতারে পুলিশ মাঠে রয়েছে। পুলিশের অপরাধ বিভাগ, পিবিআই, ডিবিসহ কয়েকটি ইউনিট কাজ করছে।

 

উল্লেখ্য, নিহত শাহজালাল সখীপুর উপজেলার হামিদ চৌরাস্তা বাজারে বিকাশ-ফেক্সিলোড ও কসমেটিক্সের ব্যবসা করতেন। ঘটনার রাতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে চাচা-ভাতিজা মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফেরার পথে রাতের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। নিহতদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি মরদেহের পাশে পড়েছিল। গত বুধবার রাতে উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের বাঘেরবাড়ি বাংলাবাজার এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটেছে। নিহত মজনু মিয়া বাঘেরবাড়ি গ্রামের নবু মিয়ার ছেলে এবং শাহজালাল একই গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *