নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইল বিন্দুবাসিনী সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ১৯৮০-১৯৯৫ সালের সাবেক ছাত্রদের সমন্বয়ে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে হলুদ দল ও লাল দলের খেলা (২-২) গোলে ড্র হয়।
রবিবার, ২ জুলাই টাঙ্গাইল স্টেডিয়ামে রাতের ফ্লাড লাইটে বিন্দুবাসিনী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশীপ (বিএফসি) ফাইনাল খেলার পূর্বে বিন্দুবাসিনী সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ১৯৮০-১৯৯৫ সালের সাবেক ছাত্রদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। এই ১৫ সালের এসএসসি ব্যাচের সমন্বয়ে হলুদ দল ও লাল দল নামে দুটি দলের প্রীতি ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া বিএফসি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে ১৪ ব্যাচ ও ১৬ ব্যাচের মধ্যে ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ট্রাইবেকারে ১৬ ব্যাচের দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে গ্যালারিতে বসে খেলা উপভোগ করেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি। খেলা শেষে বিন্দুবাসিনী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশীপের (বিএফসি) চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এডভোকেট মামুনুর রশীদ মামুনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে সদর আসনের সংসদ সদস্য মোঃ ছানোয়ার হোসেন পুরষ্কার বিতরণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন গোপালপুর-ভূঞাপুর আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির ও বিন্দুবাসিনী সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল করিম।
এসএসসি ১৯৮০ – ১৯৯৫ ব্যাচের প্রীতি ফুটবল খেলা প্রচণ্ড বৃষ্টিতে অনুপযুক্ত ও কাঁদাযুক্ত মাঠে খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলার ২ মিনিটের সময় হলুদ দলের জুয়েল খানের পাসে অনুপম বল পেয়ে লাল দলের বক্সে বল ফেললে স্টাইকার মাসুদ গোল করে (১-০) হলুদ দলকে এগিয়ে নেয়। প্রথমার্ধের শেষ দিকে মিডফিল্ডার অনুপমের পাশে হলুদ দলের স্টাইকার মাসুদ আবারও গোল করে (২-০) ব্যবধান বাড়িয়ে দেয়। প্রথমার্ধে আর গোল হয়নি। খেলার দ্বিতায়ার্ধের ১৫ মিনিটের সময় পেনাল্টি থেকে সাইফুল ইসলাম গোল করে (২-১) খেলায় ব্যবধান কমিয়ে আনে। খেলার শেষ মুহুর্তে সাইফুলের পাসে সিরাজ গোল করে (২-২) খেলায় সমতা আনেন।
বিন্দুবাসিনীর এসএসসি ১৯৮০ – ১৯৯৫ ব্যাচের প্রীতি ফুটবল ম্যাচে যারা খেলায় অংশগ্রহণ করেছেন তারা হলেন- হলুদ দল- মির্জা মঈনুল হোসেন লিন্টু (অধিনায়ক), তারেক খান জুয়েল, ইফতেখারুল অনুপম, রাশেদুর রহমান তাবিব, মোজাম্মেল হক, মাসুদ, হাসনাত জামিল উপল, তাপস বসাক, সাইফুল ইসলাম লিটন, হাবিব, আব্দুল জলিল, তুহিন খান, সঞ্জয় ও আলমগীর।
লাল দল- রেজাউর রহমান চঞ্চল (অধিনায়ক), মনোয়ার হোসেন, পিনাকী দে, সাইফুল ইসলাম, সিরাজ ইসলাম, মজনু, মীর মাজহার, কাফি, বাকী, সুভাষ রায়, হারাধন, নুরুল আলম ও শামিমুর রহমান বাবু। রেফারী হিসেবে দায়ত্ব পালন করেন সৈয়দ বেল্লাল হোসেন।