মধুপুর প্রতিনিধি: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, পাকিস্থানীরা হচ্ছে বিএনপি-জামায়াতের প্রভু। সেই ধারায় সব সময় চলতে চায়, একই কথা তারা বারবার বলছে। বাংলাদেশে সংবিধান অনুযায়ি আগামী সংসদ নিবার্চন অনুষ্ঠিত হবে। সংবিধানে সুস্পষ্ট লেখা আছে, যে সরকার ক্ষমতায় থাকবে সেই সরকারের অধীনেই নিবার্চন অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ, আইনশৃংখলা বাহিনী, আইজিপি, চীফ অফ স্টাফ সকলের দায়িত্ব হবে নিবার্চনের সময় নিবার্চন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ি তারা দায়িত্ব পালন করা। কাজেই এদেশে সুষ্ঠ, সুন্দর নিবার্চন হবে এর নিশ্চয়তা দিতে পারি।
শনিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে মধুপুর উপজেলা হলরুমে সরকারী বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে সরকারের চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বিষয়ে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বর্তমান সরকারের চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সুষ্ঠ বাস্তবায়নে সরকারী বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের সচেষ্ট থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে এ সব উন্নয়ন কাজের কোন বিকল্প নেই। স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি ও বিএনপি-জামায়াত দেশের উন্নয়ন কর্মকান্ড বানচাল করতে এবং দেশের আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি করতে তৎপর রয়েছে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্ঠায় তাদের অপতৎপরতা রুখতে হবে। এ জন্য মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের আইনশৃংখলা বাহিনী অনেক সুশৃংখল, অনেক সক্ষম। তাদের দায়িত্ব দেশের আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখা। সামরিক বাহিনী এবং অন্যান্য সিভিল প্রশাসন তারা এটা মোকাবেলা করবে। এখানে রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের দায়িত্ব হবে প্রশাসনকে সহযোগিতা করা। আমরা সেটা রাজনৈতিকভাবে করবো। ২০১৫ সালের মতো ৯০ দিন একটানা হরতাল, অবরোধ, গাড়িতে আগুন দেয়া, মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা, রেললাইন তুলে ফেলা, বিদ্যুতের লাইন কেটে দেয়া। এগুলোর পুনরাবৃত্তি ইনশাল্লাহ আর হবে না। কঠোর হস্তে এগুলো মোকাবেলা করা হবে।
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, দেশ বর্তমানে উন্নয়নের যাত্রায় রয়েছে। এই উন্নয়নের ধারাকে আমরা অব্যাহত রাখতে চাই। উন্নয়নের মহাসড়কে আমরা রয়েছি। এটাকে আরো গতিময় করতে চাই, আরো বেগবান করতে চাই। আমরা দুই-আড়াই বছর হারিয়েছি করোনা মহামারির জন্য, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের জন্য। আর একটি দিনও নষ্ট করার কোন সুযোগ নেই। কোন হরতাল, অবরোধ করতে দেয়া হবে না, কঠোর হস্তে সব মোকাবেলা করা হবে।
মধুপুর উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা শামীমা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে সভায় সরকারী বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।