ভূঞাপুরে জামাই-শ্বশুরের প্রতারণার ফাঁদ: গ্রেপ্তার

ভূঞাপুরে জামাই-শ্বশুরের প্রতারণার ফাঁদ: গ্রেপ্তার

অপরাধ আইন আদালত ভূঞাপুর

ভূঞাপুর প্রতিনিধি: ভূঞাপুরে কুয়েতের একটি সংস্থার নাম করে স্বল্প মূল্যে পাকা ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার নামে মানুষের সাথে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে পুলিশ মাহবুবুল হক, আ. রউফ ও তার মেয়ের জামাই নাজিম সিদ্দিকীকে গ্রেপ্তার করেছে।

ভূঞাপুর থানা পুলিশ শুক্রবার (১৯ মে) দুপুরে আ. রউফ ও নাজিমকে টাঙ্গাইল কোর্ট হাজতে প্রেরণ করে।এর আগে বৃহস্পতিবার (১৮ মে) মূল হোতা মাহবুবুল হককে গ্রেপ্তার করে তিনদিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদে মাহবুব তার সহযোগী রউফ ও মেয়ের জামাই নাজিমের কথা জানান।

সম্প্রতি প্রতারণার অভিযোগে উপজেলার ছাব্বিশা গ্রামের মাসউদ আলী খান বাদী হয়ে মাহবুবকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন।

জানা যায়, বিদেশি সংস্থা কুয়েত জয়েন রিলিফ সোসাইটির (কেজিআরসি) নামে একতলা ভবন নির্মাণের আশ্বাস দিয়ে মাহবুবুল হক ও তার সহযোগীরা স্থানীয় মানুষের কাছ থেকে ৪-৫ লাখ টাকা করে নেন। মানুষের আস্থা অর্জনের জন্য বেশ কয়েকটি ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করেন। কিন্তু হঠাৎ করেই তারা উধাও হয়ে যান।

পরে তাদের সাথে যোগাযোগ করা হলেও কোন সুরাহা না পাওয়ায় ভুক্তভোগী মাসউদ আলী খান বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয় মাসউদসহ উপজেলার বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে গ্রেপ্তারকৃতরা ৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা প্রতারণা করে।

ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম জানান, মামলার মূল আসামির সাথে এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন জামাই ও শ্বশুর। রিমান্ডে মাহবুবুল হক ওই দুই এজেন্টের কথা বলার পরই অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার দুপুরে তাদের কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *