নিউ ধলেশ্বরীর ভাঙন থেকে জোকারচর গ্রাম রক্ষার দাবিতে আবেদন

নিউ ধলেশ্বরীর ভাঙন থেকে জোকারচর গ্রাম রক্ষার দাবিতে আবেদন

টাঙ্গাইল

নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামি বর্ষায় টাঙ্গাইলের নিউ ধলেশ্বরী নদীর ভাঙন থেকে কালিহাতী উপজেলার জোকারচর গ্রামটি রক্ষার দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার (১১ মে) টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসকের কাছে দেওয়া ২৫৪ ব্যক্তি সাক্ষরিত লিখিত আবেদনে ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।

জানা গেছে, নিউ ধলেশ্বরী নদীর মুখ (অফটেক) বাঁধাইয়ের ফলে বর্ষা মৌসুমে যমুনা থেকে প্রবল ধারায় নদীতে পানি প্রবাহ হয়ে থাকে। প্রমত্ত্বা যমুনার পেট চিরে নিউ ধলেশ্বরী নদী মুখ থেকে প্রবাহিত হয়ে কুর্শাবেনু দিয়ে পূর্ব দিকে গিয়ে জোকারচর গ্রামের অংশে দক্ষিণে বাঁক নিয়ে পুনরায় পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়েছে।

জোকারচরের বাঁক নেওয়া স্থানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নদী খননের উত্তোলিত ড্রেজড ম্যাটারের লট নিলামে কিনে নেয় ওই গ্রামের বালু ব্যবসায়ী মাসুদ রানা ও নুরুল ইসলাম (মেম্বার)। তারা ক্রয়কৃত বালু বিক্রির অযুহাতে ৩৫-৪০ ফুট গভীর করে নদী তীর কেটে বিক্রি করেছেন।

ফলে আসন্ন বর্ষায় নিউ ধলেশ্বরী নদীটি গতিপথ পরিবর্তন করে দক্ষিণে বাঁক না নিয়ে সোজা পূর্ব দিকে প্রবাহিত হওয়ার আশঙ্কা বদ্ধমূল হচ্ছে। এতে নদী ভাঙনে জোকারচর গ্রাম নদীগর্ভে হারিয়ে যাওয়া রোধ করতে জেলা প্রশাসকের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।

জোকারচর গ্রামের বাসিন্দা লাল মিয়া, নজরুল ইসলাম, নাছিমা আক্তার, হাজেরা সুলতানা, ইউনুস শেখ, সুলতান ফকির, মো. শহিদুল ইসলাম, মোছা. আম্বিয়া খাতুন, লাভলী আক্তার, নয়ন তারাসহ আবেদনকারীরা জানায়, তারা নদী তীরবর্তী মানুষ। নদীর ভাঙা-গড়ার সঙ্গে তারা পরিচিত। বালু ব্যবসায়ীরা তীর কেটে ৪০-৫০ ফুট গভীর করে দিনরাত বালু বিক্রি করায় নিউ ধলেশ্বরী নদী আগামী বর্ষায় এ গ্রামটি গ্রাস করার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

গ্রামবাসীর আবেদন গ্রহন করে জেলা প্রশাসনের এনডিসি খায়রুল ইসলাম জানান, তিনি আবেদনটি যথাযথভাবে জেলা প্রশাসকের কাছে উপস্থাপন করবেন।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, জোকারচর গ্রামের লোকজন এসে একটি আবেদন দিয়ে গেছে। তিনি সরেজমিনে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *