
নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলে লাজ ফার্মাকে নকল ওষুধ বিক্রি করায় দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
রোববার, ৩০ নভেম্বর টাঙ্গাইল জেলা জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর এ অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে জরিমানা করে।
জানা গেছে, লাজ ফার্মায় জার্মানির বলে বিক্রি করা ওষুধ গ্রহণের পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয় এক রোগীর শরীরে। আর সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তে নেমে সত্যতা পায় জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
রবিবার, ৩০ নভেম্বর বিকেলে জেলা ভোক্তা অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রোমেলের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে সহযোগিতা করেন টাঙ্গাইল সিভিল সার্জন অফিসের সেনেটারি ইন্সপেক্টর শাহেদা আক্তার, ড্রাগ সুপার জাফরসহ সেনাবাহিনী, পুলিশ ও ড্রাগ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
টাঙ্গাইল জেলা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কার্যালয় সূত্র জানায়, স্থানীয় বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম গত বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) রাতে লাজ ফার্মার বিরুদ্ধে নকল ওষুধ বিক্রির অভিযোগ করেন। অভিযোগ পাওয়ার পরই ওইদিন রাতেই লাজফার্মায় অভিযান চালিয়ে সন্দেহজনক বেশ কিছু ওষুধ জব্দ করা হয়। পরবর্তীতে, তদন্ত শেষে ওষুধগুলো নকল প্রমাণিত হলে ভোক্তা অধিদপ্তর আইন অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটিকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
টাঙ্গাইল জেলা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রোমেল বলেন, জনস্বাস্থ্যের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত হওয়ায় নকল ওষুধের বিষয়ে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। অভিযোগ পাওয়ার পরপরই অভিযান পরিচালনা করে ওষুধ জব্দ করা হয় এবং ল্যাব পরীক্ষায় নকল প্রমাণিত হওয়ায় জরিমানা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ভেজাল ও নকল ওষুধ সাধারণ মানুষের জীবনে ভয়াবহ ঝুঁকি তৈরি করে। জনগণের অধিকার সুরক্ষায় এ ধরনের অভিযান নিয়মিতভাবে চলবে বলেও তিনি জানান।
এদিকে জরিমানা প্রসঙ্গে লাজ ফার্মার পক্ষ থেকে জানানো হয়, আমাদের সাপ্লাইকারী প্রতিনিধি প্রতারণা করেছে। ভুলবশত এসব ওষুধ দোকানে এসেছে। এজন্য আমরা জরিমানা দিয়েছি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বাজারে ভেজাল ও অনিয়মিত ওষুধ বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত ঝুঁকিতে পড়ছেন। এ সময় জেলার বিভিন্ন ফার্মেসিতে নিয়মিত নজরদারি অব্যাহত থাকবে বলে জানায় টাঙ্গাইল জেলা ভোক্তা অধিদপ্তর।
