মির্জাপুরে নির্মাণ শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে এক নারী গ্রেফতার

অপরাধ আইন আদালত মির্জাপুর

মির্জাপুর প্রতিনিধি: মির্জাপুর উপজেলায় যুবদল নেতা সকাল মাহমুদের নেতৃত্বে শহিদুল ইসলাম (৩০) নামের এক নির্মাণ শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

 

শনিবার, ৮ নভেম্বর দুপুরে উপজেলার গোড়াই শিল্পাঞ্চলে এই হত্যার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রবিবার, ৯ নভেম্বর সকালে নিহত শহিদুল ইসলামের বোন আলেয়া বেগম বাদী হয়ে নিহতের প্রাক্তন স্ত্রীসহ যুবদল নেতা সকাল মাহমুদ, রবিন শেখ, ছাত্রদল নেতা তৌফিক ওমরের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৭/৮ জনকে আসামী করে মির্জাপুর থানায় মামলা করেছেন।

এ ঘটনার পর শহিদুলের প্রাক্তন স্ত্রী নাসরিন বেগমকে (৩৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার নাসরিন আক্তার মির্জাপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের পারদিঘী গ্রামের আজম খানের মেয়ে। সে জোড়পুকুর পাড় এলাকার মোয়াজ্জেম হোসেনের বাসায় ভাড়াটিয়া। নির্মাণ শ্রমিক নিহত শহীদুল ইসলাম রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে। সে গোড়াই জোড়পুকুর পাড় এলাকায় থেকে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতো।

পুুলিশ জানিয়েছেন, নিহত শহিদুল ইসলামের সঙ্গে তার তৃতীয় স্ত্রী নাসরিন বেগমের কয়েক মাস আগে ছাড়াছাড়ি হয়। কিন্ত সংসার চলাকালের তাদের অন্তরঙ্গ মুহুুর্তের কিছু ছবি ও ভিডিও শহিদুল ইসলাম মোবাইল ফোনে ধারণ করে রাখে। ছাড়াছাড়ির পর সেই ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে তাকে অনৈতিক কাজ করতে চাপ দেয়। এতে নাসরিন বেগম ক্ষুব্দ হয়ে ওই মোবাইলে থাকা ছবি ও ভিডিও উদ্ধারের জন্য গোড়াই ইউনিয়ন যুবদলের দপ্তর সম্পাদক সকাল মাহমুদসহ যুবদল, ছাত্রদল শ্রমিকদলের কয়েকজন নেতাকে ভাড়া করেন।

শনিবার (৮ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে যুবদল নেতা সকাল মাহমুদের নেতৃত্বে ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক রবিন শেখ, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহসভাপতি তৌফিক ওমরসহ অজ্ঞাতনামা আসামীরা জোড়পুকুর পাড় এলাকায় গিয়ে শহিদুলকে রাস্তায় ফেলে এলোপাতাড়ি মারপিট করে গুরুতর আহত করে। এ সময় তাকে উদ্ধার করে কুমুদিনী হাসপাতালে নেয়ার পথে সে মারা যান। ঘটনার পর পুলিশ গিয়ে শহিদুল ইসলামের প্রাক্তন স্ত্রী নাসরিন বেগমকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে।

মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত নিহতের তার প্রাক্তন স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *