
নিজস্ব প্রতিবেদক: কালিহাতী উপজেলায় ধর্ষণের ফলে বাক প্রতিবন্ধী হিন্দু কিশোরী (১৮) অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) রাতে থানায় মামলা দায়ের করেছেন ধর্ষিত ভুক্তভোগীর বাবা। এ বিষয়টি এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
অভিযুক্ত ব্যক্তি ইসমাইল হোসেন (৫৫) কালিহাতী উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের আব্দুল হামিদের ছেলে। এ অভিযোগে তাকে ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বহিষ্কার করেছে জেলা বিএনপি। মামলার পর থেকে আসামী ইসমাইল হোসেন পলাতক রয়েছেন।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ওই প্রতিবন্ধী কিশোরী এবং ইসমাইলের বাড়ি পাশাপাশি। গত মার্চ মাসে ভয়ভীতি দেখিয়ে মেয়েটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ইসমাইল হোসেন। মেয়েটি ভয়ে কিছু বলতে সাহস পায়নি। পরে শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন দেখে পরিবারের সদস্যরা অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি বুঝতে পারেন। তারপর লিখে ও ইশারায় ভুক্তভোগী সব ঘটনা খুলে বলে।
ভুক্তভোগীর মা ও বাবা বলেন, বোবা মেয়েটি এসএসসি পাস করেছে। স্বপ্ন ছিল লেখাপড়া করে বড় হওয়ার। নরপিশাচ মেয়েটার জীবন নষ্ট হয়ে দিয়েছে। আমাদের মানসম্মান শেষ করে দিয়েছে। আমরা এর সঠিক বিচার চাই।
কালিহাতী উপজেলা পূজা উদযাপন ফ্রন্টের আহ্বায়ক নীরু ব্যানার্জি এবং সদস্য সচিব মানিক ভট্টাচার্য বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। অপরাধীর দ্রুত গ্রেপ্তার এবং যথাযথ শাস্তি চাই।
ভুক্তভোগীর সহপাঠী এবং এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারাও দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।
কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীর বাবা। শনিবার (১১ অক্টোবর) সকালে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে এবং জবানবন্দির জন্য মেয়েটিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এদিকে, শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন এবং সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল স্বাক্ষরিত চিঠিতে অভিযুক্ত ইসমাইল হোসেনকে দলীয় সকল পদ থকে বহিষ্কার করা হয়েছে।