
নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলে ধলেশ্বরী নদীর ওপর নির্মিত সেতুর সংযোগ সড়ক পানির চাপে ভেঙে গেছে। এতে জেলার পশ্চিম অঞ্চলের কয়েকটি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর গভীর রাতে সদর উপজেলায় চারাবাড়ি তোরাফগঞ্জে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, গত কয়েকদিন ধরে ধলেশ্বরী নদীতে পানি বাড়তে থাকে। এর ফলে পানির প্রচুর চাপে মঙ্গলবার রাতে ব্রিজের সংযোগ সড়ক ভেঙে পড়ে। সদর উপজেলার চলাঞ্চলে হুগড়া, কাকুয়া, কাতুলী, মাহমুদনগর ও সিরাজগঞ্জের চোহালির একটি অংশ এই ব্রিজ দিয়ে যাতায়াত করে থাকেন। টাঙ্গাইলের চারাবাড়ি তোরাপগঞ্জ ধলেশ্বরী নদীর ওপর স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর ২০০৬ সালে ১৭০ দশমিক ৬৪২ মিটার দৈর্ঘ্যের এই সেতু নির্মাণ করে।
স্থানীয় আব্দুর রশিদ বলেন, সেতুটি নির্মাণের পর থেকেই তিনবার সেতুর অ্যাপ্রচ ভেঙে গেছে। এই সেতুর নিজ দিয়ে শুষ্ক মৌসুমে বালু উত্তোলন করে থাকেন। যার ফলে এসে তোর অ্যাপ্রচ বারবার ভেঙে পড়ছে।
সিএনজিচালিত অটোকরিকশার চালক সাজেদুল বলেন, বাক থাকায় সেতুর অ্যাপ্রচের পাশে পানির চাপ পড়ে। যার ফলে বর্ষা আসলেই এই সেতুর অ্যাপ্রচ ভেঙে যায়। শুষ্ক মৌসুমে নদীর গতিপথ পরিবর্তন না করলে প্রতিবছরে পানির চাপ সেতুর অ্যাপ্রচে চাপ পড়বে। অ্যাপ্রচ স্থায়ীভাবে বাধ দিতে হবে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন কেন্দ্রীয় বিএনপি প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এড. ফরহাদ ইকবালসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ।
এ সময় কেন্দ্রীয় বিএনপি প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, পশ্চিম টাঙ্গাইলের লক্ষাধিক মানুষের দুর্ভোগ লাগবের জন্য দ্রুত এই সেতুর কাজ করার জন্য কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানাচ্ছি। সেখানে দিয়ে দেখেছি ব্রিজের পশ্চিম পাশে শত শত মানুষ শহরে আসার জন্য সিএনজি, অটোরিক্সা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সেতু ভেঙে যাওয়ার কারণে আসতে পারছে না। তাদের যোগাযোগের জন্য দ্রুত বিকল্প হিসেবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে এমনটি কর্তৃপক্ষ আমাকে জানিয়েছেন।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহীন মিয়া জানান, ভোরে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে সমন্বয় করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চেষ্টা করছি। যেহেতু ঘটনাস্থলে আশেপাশে কোনো ব্রিজ অথবা বিকল্প পারাপারের ব্যবস্থা নেই। তাই বিষয়টি আমরা সবার সমন্বয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করছি।