নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলে ২৭ মামলার আসামি আল আমিনসহ ডাকাত দলের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি-দক্ষিণ)। একইসঙ্গে তাদের ছিনতাইকৃত ৩টি মোটরসাইকেলও উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর দুপুরে টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আব্দুল্লাহ আল মামুন এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- টাঙ্গাইল শহরের দক্ষিণ থানাপাড়ার মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে আল আমিন (২৭), কালিহাতী উপজেলার সিঙ্গাইর গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে রায়হান আহম্মেদ লিজন (২৮) এবং নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলার বিজবাগ গ্রামের মজিবল হকের ছেলে হাসান (২৬) ও একই গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে আশরাফ হোসেন (২৫)। তারা উভয়ই উত্তরবঙ্গ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল ছিনতাকারী দলের সক্রিয় সদস্য।
এদের মধ্যে আল আমিনের নামে দেশের বিভিন্ন থানায় নানা অপরাধে ২৭টি মামলা রয়েছে। এছাড়া অন্যদের নামে বিভিন্ন থানায় চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতির একাধিক মামলা রয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে বগুড়াগামী মোটরসাইকেল চালক নোমান শেখ যমুনা সেতু মহাসড়ক থেকে গত ১৪ নভেম্বর টাঙ্গাইলের কান্দিলা পৌঁছালে পেছন থেকে ২টি মোটরসাইকেলে এসে তার ওপর হামলা করে। পরে তাকে আহত করে ২ লাখ ৯৭ হাজার টাকা মূল্যের মোটরসাইকেল ছিনতাই করে উত্তরবঙ্গের দিকে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় হামলার শিকার নোমান শেখ টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার সূত্র ধরে টাঙ্গাইলের কালিহাতী ও মির্জাপুর উপজেলা এবং কক্সবাজার ও নোয়াখালী জেলার বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামিদের অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের (রিমান্ড) আবেদন করে আদালতে উপস্থাপন করা হয়। আদালত তাদের মধ্যে আল আমিনকে ৩ দিন এবং রায়হান আহম্মেদ লিজনকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
তিনি আরো জানান, রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের তারা আশরাফ হোসেন ও হাসানের তথ্য দেন। পরে বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে আশরাফ ও হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আল আমিনের নামে বিভিন্ন থানায় কমপক্ষে ২৭টি মামলা রয়েছে। তাদের কাছ থেকে তিনটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। এ সব মামলায় আল আমিন একাধিকবার কারাভোগ করেছেন। পুলিশের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।