মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি: সাধারণ ছাত্ররা রাজনৈতিক দল ঘোষণা করবে কি না তা জনগণই নির্ধারণ করবে বলে উল্লেখ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের অন্যতম নেতা ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম। তিনি বলেন, যে তরুণ প্রজন্ম ওই খুনি হাসিনার পতন ঘটিয়েছে তারা রাজনৈতিক দল গঠন করবে কি-না এটা বাংলাদেশের মানুষ নির্ধারণ করবে। কিন্তু আমরা আমাদের জায়গা থেকে বিশ্বাস করি যে, তাদের একত্রিত হয়ে একটি নতুন রাজনৈতিক দল থাকা উচিত।
রবিবার, ১৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় সন্তোষে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার মাজারে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, দেশকে এগিয়ে নিতে হলে মাইনাস টু ফর্মুলা বাদ দিয়ে প্লাস টু ফর্মুলা করতে হবে। তাহলেই দেশ দ্রুত এগিয়ে যাবে। সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হলে স্বচ্ছ নির্বাচন কমিশন, স্বচ্ছ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দরকার। তাই যথাযথ যৌক্তিক সময় দরকার এই সরকারের।
মাওলানা ভাসানী সম্পর্কে তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের কথা চিন্তা করলেই চলে আসে প্রথম সারিতে ভাসানীর কথা। তিনি এদেশের মাটি ও মানুষের নেতা হতে পেরেছিলেন। কারণ তিনি সকল মানুষের সাথে মেশার জন্য লুঙ্গি ও পাঞ্জাবি পরতেন। তিনি ছিলেন ন্যায়ের পক্ষে, অন্যায়ের সাথে কোনদিনও আপোষ করেননি বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, আমরা মনে করি, ১০০ দিনে এই সরকারের কাছে যতটুকু আশা করেছিলাম সে অনুযায়ী আমাদের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। কিন্তু এই ১০০ দিনে সরকারের অবস্থান আরও ভালো হতো, যদি রাজনৈতিক দলগুলো সহযোগিতা করতো। এ দেশের রাজনৈতিক দলগুলো দেশের কথা, দেশের মানুষের কথা না ভেবে নিজের ব্যক্তিগত ও দলীয় স্বার্থ প্রাধান্য পায় সেদিকেই দেখে।
সারজিস আলম আরও বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হলে স্বচ্ছ নির্বাচন কমিশন, স্বচ্ছ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দরকার। যথাযথ যৌক্তিক সময় দরকার সরকারের। ছয় মাস সরকারের জন্য কোনো যৌক্তিক সময় হবে না। তেমনি আবার তিন থেকে পাঁচ বছরের মেয়াদকালও যৌক্তিক হবে না।
এ সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মাহিম সরকার, বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের টাঙ্গাইল জেলা সমন্বয়ক মনিরুল ইসলাম, আল আমিন, নবাব আলী, কামরুল ইসলাম, আল আমিন সিয়ামসহ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যান্য শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।