
নিজস্ব প্রতিবেদক: কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বলেন, ‘আমি যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন বঙ্গবন্ধুকে লালন করব। যতদিন বেঁচে আছি জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধুর আদর্শই ধারণ করে চলব। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা যুদ্ধ করেছি। জিয়াউর রহমানও মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। কিন্ত আমরা ভুল করে জামায়াত-শিবিরকে সুযোগ দিয়েছি। বঙ্গবন্ধু ক্ষমা না করলে তারা টিকতেই পারত না।’
আজ ১১ ডিসেম্বর, বৃস্পতিবার টাঙ্গাইল জেলা হানাদারমুক্ত দিবস উপলক্ষে কাদেরিয়া বাহিনীর উদ্যোগে স্থানীয় শহিদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু যেখানে নেই, সেখানে মুক্তিযুদ্ধ নেই, বঙ্গবীরও নেই। শেখ হাসিনাকে আমি মায়ের মতো দেখি। শেখ হাসিনার অন্যায় বঙ্গবন্ধুর অন্যায় নয়। আর ড. ইউনুস মনে করেন আওয়ামী লীগকে বিচার করবেন এটা সম্ভব নয়। যদি আওয়ামী লীগ স্বৈরাচার হয়, তাহলে এখন কী হচ্ছে।
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সব দল নির্বাচনে এলে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগও অংশ নেবে। কিন্তু যদি বিএনপি ও এনসিপিকে নিয়ে একতরফা নির্বাচন হয়, তাহলে কেউ ভোট দিতে যাবে না।
তিনি বলেন, সরকার যদি সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে, তখন জনগণ চাইলে দলের বাইরে থেকেও প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা ভাববো। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি দেখে মনে হয় এই নির্বাচনে মানুষের আগ্রহ কমে যাবে। নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করতে হলে আগে পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার যে ভাটি খেয়েছে, আপনাদেরও সেই ধাক্কা খেতে হতে পারে। ‘জুলাইযোদ্ধা’ দাবি করা অনেকেই পরিচয় দেয় । যারা জনগণের পথ দেখাবেন, তারা কোথায়? জনগণের নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি ৭১ সালে নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে আজ জুলাইযোদ্ধারা কথা বলতে পারেন। দ্বিমতের স্বাধীনতা দিতে হবে। আমার ভোট আমি দেব যাকে খুশি তাকে এমন পরিবেশ ফেরাতে হবে।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন তার বড় ভাই, সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ুন বাঙাল, ফজলুল হক বীর প্রতীক, কুড়ি সিদ্দিকীসহ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নেতাকর্মীরা।
