
মির্জাপুর প্রতিনিধি: আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকীর মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন দলটির একাংশ।
শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক সাঈদ সোহরাবের অনুসারী নেতাকর্মীরা।
মির্জাপুর উপজেলার ফতেপুর, বহুরিয়া, ওয়ার্শী, তরফপুর, লতিফপুর, আজগানা, জামুর্কী, বাঁশতৈল, ভাওড়া, মহেড়া ও মির্জাপুর পৌরসভা থেকে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে আসা হাজার হাজার নেতাকর্মীরা বিকাল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ‘বয়কট বয়কট, চাঁদাবাজ বয়কট’, ‘চাঁদাবাজের ঠিকানা, মির্জাপুরে হবে না’ ইত্যাদি স্লোগান দেন। উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা গোড়াই বাসস্ট্যান্ড থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে শেষ হয়। মিছিলের নেতৃত্ব দেন জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য ফিরোজ হায়দার খান।
এ সময় স্থানীয় নেতারা ভ্রাম্যমাণ মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দেন। বক্তারা অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় বিএনপি তৃণমূলের মতামতকে বিবেচনায় না নিয়ে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির শিশু বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকীকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছে। মির্জাপুর উপজেলার তৃণমূল বিএনপি নেতাকর্মীরা তাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তারা ওই মনোনয়ন বাতিল করে সাঈদ সোহরাবকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানান।
জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য ফিরোজ হায়দার খান বলেন, আবুল কালামের সঙ্গে মির্জাপুরের নেতাকর্মীদের কোনো সম্পর্ক নেই। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে। আমরা চাই, সাঈদ সোহরাব বা চাঁদাবাজ এবং দুর্নীতিবাজ ছাড়া যে কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হোক। যতদিন না মনোনয়ন পরিবর্তন করা হবে ততদিন আমাদের আন্দোলন চলবে। দল ও জনগণের স্বার্থে তাকে মনোনয়ন দিতে হবে।
বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন- জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য ফিরোজ হায়দার খান, লতিফপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আলী হোসেন রনি, পৌর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মোঃ হাজী সোরহাব, উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য কাউছার মাস্টার, পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন দিপু, শরিফুল ইসলাম শামীম, উপজেলা বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক তোজাম্মেল হোসেন প্রিন্স, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি খন্দকার মোবারক হোসেন, উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি জাহাঙ্গীর মৃধা, উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মাসুদ শিকদার, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শপথ, কৃষক দলের সাবেক সদস্য সচিব আলী আজম খান উথান, উপজেলা যুবদল আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য আলমগীর হোসেন, জামুর্কী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি খন্দকার রাজিউল মাতীন ধ্রুব প্রমুখ।
এ বিষয়ে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির শিশু বিষয়ক সম্পাদক ও টাঙ্গাইল-৭ আসনের বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী মো. আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী বলেন, মির্জাপুরের সকল স্তরের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের সমর্থন আমার প্রতি রয়েছে। কিছু মানুষ সিন্ডিকেট করে বিশৃঙ্খলা করার জন্য এসব করছেন।
