
নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলাসহ বিভিন্ন উপজেলায় গত কয়েকদিন ধরে ঘন কুয়াশা ও শীতের তীব্রতা অনেক বেশি। আর শীতের আগমনে লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলার কারিগররা। শীত মোকাবেলায় আগাম প্রস্তুতি হিসাবে লেপ-তোষক বানানোর হিড়িক পরেছে দোকানগুলোতে।
কারিগররা বলছেন, কিছুদিন পরে ক্রেতাদের ভিড় আরও বাড়বে। ক্রেতাদের এই আনাগোনা চলবে পুরো শীত জুড়ে। আমরা কাক ডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিরামবিহীন ভাবে লেপ তোষক তৈরি করছি। শীতের ছয় মাস আমরা ব্যস্ত সময় পার করি। সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে গিয়ে দেখা যায় লেপ তোষক তৈরির কারিগররা অনেক ব্যস্ত সময় পার করছে।
গোবিন্দাসী বাজারের লেপ-তোষক ব্যবসায়ী রাজু আহমেদ জানান, এ বছর জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় স্বাভাবিক ভাবেই লেপ-তোষক তৈরিতে খরচ একশ থেকে দুইশ টাকা বেড়ে গেছে। আর একটি লেপ-তোষক বিক্রি করে তাদের ২’শ থেকে ৩’শ টাকা লাভ হয়।
এদিকে, শীতের আগমনী বার্তার সাথে পাল্লা দিয়ে শীত নিবারণের উপকরণ লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা। কারণ প্রতিটি এলাকাতেই শীত জেকে বসার আগেই শীত নিবারণে ওই সব লেপ-তোষক তৈরির দোকানে ভিড় করছে এ অঞ্চলের মানুষ। শীতের কারণে অনেকে শীত নিবারণের জন্য হালকা কাঁথা ও কম্বল ব্যবহার শুরু করছেন।
ব্যবসায়ী মো. হুরমুজ আলী জানায়, শীতের আগমনীর সাথে ভূঞাপুরের বিভিন্ন লেপ-তোষক কারিগর ও ব্যবসায়ীদের মাঝে কর্মচাঞ্চল্যতা ফিরে এসেছে। তারা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। উপজেলার ছোট-বড় হাটবাজার গুলোতে জাজিম, বালিশ, লেপ, তোষক তৈরি ও বিক্রির কাজে কারিগর ও ব্যবসায়ীরা নিয়োজিত। কাপড়ের মান বুঝে লেপ-তোষকের দাম নির্ধারণ করা হয়। ৪-৫ হাত লেপের দাম পড়ছে ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা। আর তোশক তৈরিতে দাম পড়ছে ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকার মধ্যে।
তবে কেউ কেউ বলছেন, এবার তুলার দাম বেশি। কালার তুলা প্রতিকেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, মিশালী তুলা ৪০ টাকা, সিম্পল তুলা ৫০ টাকা, শিমুল তুলা ৩৫০ টাকা ও সাদা তুলা ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। শীতের তীব্রতা বাড়লে লেপ-তোষক তৈরি ও বিক্রি আরও বাড়বে এমনটি প্রত্যাশা ব্যবসায়ীদের।
সরেজমিনে দেখা যায়, জেলা শহরে অর্ধ শতাধিক লেপ-তোষকের দোকান রয়েছে। শীত মৌসুমে ব্যবসায়ীরা রেডিমেড লেপ তোষক তৈরি করে তা বিক্রি করছেন। অপরদিকে প্রতি বছরের মতো দোকানগুলোতে চাপ সামাল দিতে বাড়তি কারিগর রেখেছেন দোকান কর্তৃপক্ষ।
টাঙ্গাইল শহরের তুলা পট্টিতে লেপ বানাতে আসা ওহিদুর রহমান ও শিক্ষক গোলাম মোস্তফা বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার লেপ-তোশকের দাম একটু বেশি । গত এক সপ্তাহ থেকে শীত অনুভূত হওয়ায় লেপ কিনতে এসেছেন তারা। তবে এবারে লেপের জন্য তুলার দাম গত বছরের চেয়ে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেশি নিচ্ছেন বিক্রেতারা। তারা এ বিষয়ে প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।
