সখীপুরে স্ত্রীর দাবিতে আসা তরুণীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন: প্রেমিকসহ গ্রেপ্তার

অপরাধ আইন আদালত সখিপুর

সখীপুর প্রতিনিধি: সখীপুরে স্ত্রীর দাবি নিয়ে আসা উপজেলার হতেয়া রাজাবাড়ী ইউনিয়নের বাজাইল এলাকার এক তরুণীকে (২৭) গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সন্ধ্যায় নিজ বাড়ি থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- তরুণীর প্রেমিক আব্দুর রশিদ (২৪), রশিদের বাবা আব্বাস উদ্দিন (৫৫) ও মা চন্দ্রা বেগম (৪৭)।‌ এর আগে মারধরের শিকার ওই তরুণীর বাবা বাদী হয়ে প্রেমিক রশিদসহ ছয়জনকে আসামি করে সখীপুর থানায় মামলা করেন।

মামলার বিবরণ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই তরুণীর সঙ্গে বাজাইল গ্রামের আব্দুর রশিদের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরে তাঁরা নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে করেন এবং তাঁদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কও হয় বলে তরুণী দাবি করেন।

কিন্তু গত বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) স্ত্রীর মর্যাদা চেয়ে বিয়ের কাগজপত্র নিয়ে স্বামীর (রশিদ) বাড়িতে গেলে রশিদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা সম্পর্ক অস্বীকার করেন এবং তাঁকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্মমভাবে মারধর করেন। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন তরুণীকে উদ্ধার করে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

নির্যাতনের শিকার তরুণী অভিযোগ করেন, আমার কাছে কোর্ট ম্যারেজের কাগজপত্র, ভিডিও, ছবিসহ আরও বেশ কিছু প্রমাণ আছে। ওরা আমাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করে সবকিছু কেড়ে নিয়েছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত আব্দুর রশিদ তাঁর বিরুদ্ধে আনা নির্যাতনের অভিযোগটি আংশিক স্বীকার করলেও পাল্টা দাবি করে বলেন, ওই তরুণীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল ঠিকই, তবে তরুণী বয়স, আগের বিয়ে ও দুটি সন্তানের মতো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন রেখে তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। তিনি আরও দাবি করেন, ঘটনার দিন তরুণী তাঁর বাড়িতে এসে ফাঁসি দিতে চেয়েছিলেন, এ কারণেই তাঁকে কেবল বেঁধে রাখা হয়েছিল।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সখীপুর থানার উপপরিদর্শক (এস. আই) মো. কাশেম বলেন, মামলার প্রধান তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদেরও দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *