বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর বাসভবনে হামলা-ভাঙচুরের প্রতিবাদে সমাবেশ অনুষ্ঠিত

টাঙ্গাইল সদর রাজনীতি সংগঠন

নিজস্ব প্রতিবেদক: কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তমের বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুর এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশস্থলে ১৪৪ ধারা জারির প্রতিবাদে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

সোমবার ৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে টাঙ্গাইল শহরের নিজ বাসভবনের সামনে কাদেরিয়া বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধাদের এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেন, আমি অবাক হয়েছি মুক্তিযোদ্ধাদের একটি সমাবেশে ১৪৪ ধারা জারি করতে হয়। এটিও একটি রেকর্ড হয়ে রইল। মুক্তিযোদ্ধারা একত্র হবেন, তাঁদের মিটিং ১৪৪ ধারা জারি করে বন্ধ করা হয়েছে। এটা খুবই ন্যক্কারজনক ঘটনা হয়েছে।

 

এ সময় বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তমসহ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ফজলুল হক বীর প্রতীক, মুক্তিযুদ্ধকালীন কাদেরিয়া বাহিনীর কোম্পানি কমান্ডার কাজী আশরাফ ওরফে হুমায়ুন বাঙাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা এমদাদুল হক, সখীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র ছানোয়ার হোসেন, বাসাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র রাহাত হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, পুলিশ দুপুর থেকে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর বাড়িতে অবস্থান দেয়। বিকেলে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বাসভবনের নিচে নামলে পুলিশের তৎপরতা বেড়ে যায়। পরে তিনি বাসার নিচে সমাবেশ করলে পুলিশ ঘিরে রাখে। পুলিশের উপস্থিতিতে সমাবেশ শেষ হয়।

প্রতিবাদ সমাবেশে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী তার অনুসারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, সামনে কঠিন সংগ্রামের দিন আসছে। তোমাদের রাস্তায় নামতে হবে। আজকে যারা এসেছ, আমি খুব খুশি হয়েছি দেখে। শক্তির চেয়ে বড় কিছু নেই, তবে সেই শক্তি হতে হবে নিয়ন্ত্রিত শক্তি। অনিশ্চিত শক্তির কোনো মূল্য নেই। ভবিষ্যতে কর্মসূচি দেব, দৌড়ে আসবে।

তিনি আরো বলেন, ‘পুলিশ বাইরে লাঠি হাতে দাঁড়িয়ে আছে, লাঠি যাতে প্রয়োগ করতে না হয়। যেদিন রাস্তায় নামব, সেদিন লাঠি না, বন্দুকও কিছু করতে পারবে না।’

সমাবেশে তিনি বলেন, ‘যত দিন বাংলাদেশ থাকবে, তত দিন জয় বাংলা থাকবে। যত দিন বাংলাদেশ থাকবে, তত দিন বাংলাদেশের পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব থাকবেন। আমি আবারও বলছি, যাঁরা হটকারিতা করছেন, তাঁরা শেখ মুজিব আর শেখ হাসিনাকে একসাথে মেলাবেন না। আপনাদের খুঁজে পাওয়া যাবে না।’ এর আগে বিকেলে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানবীর আহমেদ বলেন, ‘নিরাপত্তার জন্য আমরা সেখানে ছিলাম।’

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *